বিশুদ্ধ ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চট্টগ্রাম ওয়াসা

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২৫

বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত (শ্যাওলা যুক্ত) পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শেখ রাসেল পানি শোধনাগার এবং মোহরা পানি শোধনাগার থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে শ্যাওলা যুক্ত পানি প্রবাহের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–১ ও ২ এর পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুটি পানি শোধনাগারেও উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তারপরও নগরবাসীর মাঝে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গভীর নলকূপ গুলো থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। দীর্ঘদিন বন্ধ গভীর নলকূপগুলো এলাকা ভিত্তিক চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নগর জুড়ে পানি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, এরকম দীর্ঘ খরা আগে কখনো হয়নি। বৃষ্টি না হলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেছে। এদিকে হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কাপ্তাই লেকের পানি কমে যাওয়ায় কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত (শ্যাওলা যুক্ত) পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মাত্রাতিরিক্ত শ্যাওলাযুক্ত পানি প্রবাহের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–১ ও ২ এর পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে এই দুটি পানি শোধনাগারে উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের ৪৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদিত হতো। এখন ৮ কোটি লিটারের মতো কম উৎপাদন হচ্ছে। রেশনিং করে আমরা নগর জুড়ে পানি সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।

লবণাক্ততা কাটানোর জন্য আমরা গভীর নলকূপ থেকে পানির উৎপাদন বাড়িয়েছি। আমাদের ৯৫টি গভীর নলকূপের মধ্যে আমরা ৫০টি চালু রেখে আর ৪৫টি বন্ধ করে রেখেছিলাম। এখন শুষ্ক মৌসুমে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মোহরা এবং শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে উৎপাদিত পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায়–গভীর নলকূপ থেকে আমরা পানি উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছি। এলাকা ভিত্তিক বন্ধ গভীর নলকূপগুলোর মধ্যে আরো কয়েকটি চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

কাপ্তাই লেক নিয়ে আমাদেরকে এখন থেকে ভাবতে হবে। কাপ্তাই লেকের দূষণ রোধ করতে হবে। কাপ্তাই ড্যামকে শুধু বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনা করে চালু রাখার চিন্তা করলে হবে না। এখান থেকে ওয়াসার পানি উৎপাদনের কথা বিবেচনা করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৫–৬ মাস বৃষ্টি না হলেও লেকে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির লেভেল থাকে–সেই কথা চিন্তা করে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে।

বর্ষা মৌসুমে সবগুলো ইউনিট চালু রেখে শুষ্ক মৌসুমে সবগুলো বন্ধ করে রাখলে–লেক থেকে পানি ছাড়া না হলে হালদায় এই বছরের চেয়ে আগামী বছর আরো বেশি লবণাক্ততা দেখা দিবে। তখন পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হবে। তাই শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট হলেও যাতে চালু রাখা যায়–সেই পরিমাণ পানি লেকে ধরে রাখতে হবে। তাহলে কাপ্তাই ড্যাম থেকে পানি নির্গত হলে হালদায় লবণাক্ততার পরিমাণ কমে আসবে। এটা নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে হবে বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :