স্বাগতম মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন

অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ
| আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:২০ | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৩

২৪ এপ্রিল ২০২৩ বাংলার রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিন টানা ১০ বছর ১১ দিন সকলের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ করেছেন জনাব আব্দুল হামিদ। আর একই সময়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক বিচারক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব মোঃসাহাবুদ্দিন। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ঢাকা টাইমস ২৪ এর পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে স্বাগতম। যতই জানছি ততই মুগ্ধ হয়েছি মহান এই নেতার অবদান ও কৃতিত্ব সম্পর্কে জেনে।

দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল - পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যাবো। আমি খুলনায় পড়াশোনা করেছি - খুলনার বন্ধুরা যখন সেখানে বেড়াতে যেতে বলতো তখন বন্ধুদের বলতাম - আমি পদ্মা সেতু ছাড়া খুলনা যাবো না। সেই প্রাণের সেতু নিয়ে যখন দেশি -আন্তর্জাতিক রাজনীতি শুরু হয়ে গেলো তখন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাতি ও সরকারকে একটি অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন সাবেক বিচারক ও তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য জনাব মোঃসাহাবুদ্দিন।

জনাব মোঃসাহাবুদ্দিন একজন পরীক্ষিত দেশ প্রেমিক। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারেনির্মমভাবে হত্যা করা হলে কোথাও কারও মাঝে প্রতিবাদ করবার সাহস দেখিনি। সেই কঠিন সময়ে একটি প্রতিবাদ করে জনাব মোঃসাহাবুদ্দিন এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই প্রতিবাদের জন্য তাকে তিন বছর জেলে থাকতে হয়েছে ডাণ্ডাবেড়ি পরে। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার পরিবার পরিজন।আমাদেরসমবেদনা আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি-সেই কষ্টের দিনগুলো অতিক্রম করে আপনি আজ আমাদের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর ২৫ ফেব্রুয়ারী ওই ‘৭৫ এর হত্যাকারীরা সরকার উৎখাতের কদাকার আকাংখায় ৫৭ জন সামরিক অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মাত্র ৫০ দিনের ব্যাবধানে একটি সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উত পেতে থাকে হায়েনারা। আর অমনি তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি মিথ্যা প্ররোচনায় যখন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ লাভ করেছে।আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি এতটা সাড়া পড়ে যে সকলেই মুখ ফিরিয়ে নেয় অর্থায়ন করা থেকে।

সেই ক্রান্তিকালে আমাদের আপা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাল ধরেন শক্ত করে। আর তার সঙ্গে ছিলেন আজকের রাষ্ট্রপতি মোঃসাহাবুদ্দিন। জনাব সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব নেন দুর্নীতি অভিযোগ মিথ্যা প্রমানে এবং মাননীয় প্ৰধানমন্ত্ৰী দায়িত্ব নেন নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা সংস্থানে। সেই পদ্মাসেতুর টাকা জোগাড় করতে বিশেষ অবদান রেখেছেন রাখাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর অধ্যাপক আতিউররহমান।আমাদেরকৃতজ্ঞতা মাননীয় প্ৰধানমন্ত্ৰী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃসাহাবুদ্দিনও অধ্যাপক আতিউররহমানের প্রতি। কারণ পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমান কেবল জনাব মোঃসাহাবুদ্দিনকরেননি। সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে কানাডার আদালতে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্বব্যাংককে ভয়ে ভয়ে মোকাবেলা করে সারা পৃথিবীর দরিদ্র দেশ গুলো। সাবাশ বাংলাদেশ - সাহসের প্ৰতীক - ঘোল খায়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংককে। যতবার পদ্মা সেতু অতিক্রম করি আর ততবারভাবি জনাব মোঃসাহাবুদ্দিন ও অধ্যাপক আতিউর রহমান এবং জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার কথা। সাহসের প্ৰতীকমোঃসাহাবুদ্দিনও দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ। যতই আসুক তুফান , দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পেরে আজ বিশ্ব ব্যাংক পালন করছে বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি। সেখানে প্রধান অতিথি হয়ে ওয়াশিংটনে আছেন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছেন - সাবধান - আম ও ছালা উভয় হারাতে হবে।

মহামান্য কেবল রাষ্ট্রপতি ননতিনি এক মহাকাব্যের মহানায়ক। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক- আচার্য । তার অভিভাববকত্বে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমরা সফল হবো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাংকিংয়ে নিয়ে যেতে। সেজন্য আচার্য হিসেবে তিনি আমাদের সমস্যা , অভিযোগ , সম্ভাবনা সম্পর্কে শুনবেন।

অতীতের সকল আচার্য থেকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ আচার্য হিসেবে তিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হবেন সেই দোআ আমাদের সকলের পক্ষ থেকে।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবার সাহস মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃসাহাবুদ্দিন আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মরমহাপুরুষ।আমার মতে, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা- কারণ কোনো ভয়ভীতি বা অজ্ঞতা তাকে দমাতে পারেনি বলেই তিনি ১৯৭৫ সালে প্রতিবাদ করেছেন, শক্তভাবে দুর্জনের মোকাবেলা করেছেন ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত দুদুক কমিশনার হিসেবে।এবং ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন।আমরা তার পরিবার পরিজনের সুখ , সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েরআচার্য, মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিবাদন, স্বাগতম।

অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ , শিক্ষক, দর্শন বিভাগ , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :