দুর্ধর্ষ ‘ছলে বাহিনী’র প্রধানকে ধরতে টেকনাফের পাহাড়ে র‌্যাবের অভিযান, গুলি বিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৫ মে ২০২৩, ২২:২৯ | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৩, ২১:৫৮

কক্সবাজারে দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছলে বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এই অভিযান চলছে। এসময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র‌্যাবের গুলি বিনিময় হয়েছে।

শুক্রবার রাতে ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকায় ডাকাত বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে গেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র‍্যাবের গোলাগুলি শুরু হয়। যা এখনও চলমান রয়েছে।

কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ উদ্দিন। ছলে ডাকাত বা ছালেহ ডাকাত নামে পরিচিত বয়স ২৫ পেরোনো এই যুবক আরসাপ্রধান আতাউল্লাহর পরেই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে।

আরসা নেতা আতাউল্লার নির্দেশে অপহরণ, ডাকাতি, ও মাদক চোরাচালানে জড়িত এই ছলে। তার ভয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজন ভীত। বিভিন্ন সময় এই ছলে উদ্দিন ক্যাম্পে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করেছেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিনব সব কৌশলে কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে ছলে বাহিনী। টেকনাফের বাহারছাড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে এসব ঘটনা বেশি ঘটে। অপহরণের পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান ভুক্তভোগীরা। তবে ফেরত আসা ব্যক্তিরা প্রাণনাশের ভয়ে অপহরণকারীদের সম্পর্কে কিছু বলেন না।

কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অপহরণ বাণিজ্য করে থাকে। তবে এর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছালেহ ডাকাতের গ্রুপ। অপহরণের পর টেকনাফের পাহাড়-জঙ্গলের আস্তানায় নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে তারা।

আরও পড়ুন—কক্সবাজারে অপহরণ-ডাকাতিতে আরসার নেতা ছালেহ উদ্দিন

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ উদ্দিন বা ছলে উদ্দিন বর্তমানে আরসার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবার নাম মো. শফি। মাতা লতি বানু বেগম। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও ছালেহ বা তার পরিবার রোহিঙ্গা তালিকাভুক্ত না। দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকায় কাগজে কলমে নাম না থাকায় অপহরণ-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্বিঘ্নে করে আসছেন ছালেহ উদ্দিন। তার ১৫-১৮ জনের একটি গ্রুপ আছে। যারা নানান অপরাধে জড়িত। বিশেষ করে সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের প্রধান সমন্বয়ক এই ছালেহ উদ্দিন। আরসা নেতা আতাউল্লাহ’র নির্দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থা করে দলটি। সেখানেই অপহরণকারী অপহরণে করে জিম্মি করে রাখা হয়। পরবর্তীতে অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। নানান অপরাধ করে এই ছালেহ ও তার দলবল মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যাণ্ডে মানবপাচারে জড়িত এই চক্রটি। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও ছালের নাম রোহিঙ্গা তালিকায় না থাকায় অপরাধ করলেও তাকে আইনের আনা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে তাকে ধরতে অভিযানে নেমেছে র‌্যাব।

ঢাকা টাইমস/০৫মে/এসএস/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

শিবালয়ে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ভোটের মাঠ

কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী, আলোচনায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে চার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের

ডোমারে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক 

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :