কাজী নজরুল ছিলেন মানবজাতির কবি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১৭:২৩ | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০২৩, ১৭:১৮

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খ্রিষ্টান, হিন্দু, সনাতন ও মুসলমানের কবি ছিলেন না; তিনি ছিলেন মানবজাতির কবি বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, ‘কবি নজরুল মানবতার কথা বলে গেছেন। তার সাহিত্যের মধ্যে সব পাই। তার প্রতিভা উপলব্দি করতে হলে তার সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী-উদযাপন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন। আলোচনা সভায় আয়োজন করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ কূটনৈতিকতায় ১৯৭২ সনের ২৪ মে কবি নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ধারণ করে আমাদের মুক্তির চেতনায় স্থান দিয়েছিলেন- তার প্রমাণ পাই। জাতীয় কবি নজরুলের আলোচনা করতে গেলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আলোচনায় আসে। সাহিত‍্যের মধ‍্য দিয়ে একটি জাতিকে কীভাবে জাগ্রত করা যায় সেটি তাদের দুজনের সাহিত‍্য কর্মে ফুটে উঠেছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ‘নজরুলের কাব‍্য প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ’ বিষয়ক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চাওয়া পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ এটিকে জাতীয় সংগীত এবং নজরুলের ‘চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ এটিকে রণ সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে সম্মানিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। নজরুলের সাহিত‍্য চর্চাকে ছড়িয়ে দিয়ে তার প্রতি সম্মান দিতে পারব। সে লক্ষ‍্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :