৩০ কেজি চালের কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

সাইফুদ্দীন আল মোবারক, টেকনাফ (কক্সবাজার)
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৩, ১৮:০৯

কক্সবাজারের টেকনাফে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে নাম দেওয়ার কথা বলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাফর আলম প্রকাশ এসকে জাফর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু ভিডাব্লিউবি নয়, জন্মসনদ করে দেবে বলেও জাহেদা নামের এক মহিলার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে জাফরের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত জাফর টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের আলী আকবর পাড়ার বাসিন্দা মৃত হাজি বদিউজ্জামানের ছেলে ও মৎস্যজীবী সমিতির নেতা।

এভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতানোর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির আহমদ ও অভিযুক্ত জাফর দুজনই প্রতিবেদকের নিকট স্বীকার করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, জাফর আলম বিভিন্ন সময় সাধারণ পাবলিকের কাছ থেকে সরকারি অনুদানের কার্ড করে দেবেন বলে টাকা হাতিয়ে নেন।

স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, তাদেরকে উপজেলার মৎস্য অফিস থেকে জেলে ভাতার তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করে দেবেন এবং পরবর্তীতে জেলে কার্ড হাতে পেলে সরকারিভাবে জেলে ভাতা পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক জেলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন জাফর ।

মূলত মৎস্য সমিটির নেতার পরিচয়ে তিনি এসব প্রতারণা করছেন বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।

রোকেয়া বেগম, নারগিছ আক্তার, মিনারা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, সাহারা ও মমতাজ মিয়াসহ অনেকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেন।

ভুক্তভোগী মমতাজ মিয়া বলেন, চালের কার্ড দিবে বলে প্রতারণা করে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে জাফর। যখন চালের কার্ড দেবে তখন আরও ১ হাজার করে দিতে- এমনটি বলেছেন বলেও ভুক্তভোগী মমতাজ জানান।

নাজমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী মহিলা জানান, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে চারজনের নাম ওঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা দেওয়ার পর প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এসকে জাফর তাদেরকে ভিডব্লিউবি'র কার্ড করে দিতে পারেননি।

পরে উক্ত মহিলা থেকে জন্মসনদ করে দেবেন বলেও ৭ হাজার টাকা হাতানোর অভিযোগ করেন।

একই কায়েদায় জাহেদা নামে আরেকজন মহিলার কাছ থেকেও দুইটি ভিডব্লিউবির বিনা মূল্যে ৩০ কেজি চালের কার্ড করার অজুহাতে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

অবশেষে চালের কার্ড না পেয়ে ভুক্তভোগীরা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর নিটক অভিযোগ করেন।

এরপর থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতানোর বিষয়টি জনসম্মুখে চলে আসে।

অভিযুক্ত জাফর আলমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন, পরে টাকা হাতানোর কথা স্বীকার অন্যজনকে দিয়েছে বলে জানান। আগামী এক সপ্তাহ বা তিনদিনের মধ্যে হাতিযে নেয়া টাকা ফেরত দেবেন বলেও মুঠোফোনে জানান জাফর।

হ্নীলা ইউপির ১নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহমদ বলেন,আমি (জাফর) তাকে জিজ্ঞেস করেছি, টাকা নেওয়ার কথা সে আমাকে স্বীকার করেছে। সে নাকি টাকাগুলো অন্য আরেকজনকে নিয়ে দিয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ভুক্তভোগীরা বিষয়টি আমাকে জানালে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :