উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর স্যাটেলাইট সমুদ্রে বিধ্বস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ মে ২০২৩, ১০:৫১| আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ১০:৫৪
অ- অ+

উত্তর কোরিয়ার প্রথম স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্যাটেলাইট সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে।

পিয়ংইয়ং এর আগে ঘোষণা করেছিল, তারা মার্কিন সামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য ১১ জুনের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিতীয়বার উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে পিয়ংইয়ং। খবর বিবিসির।

উৎক্ষেপণটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে মিথ্যা অ্যালার্ম সৃষ্টি করেছিল এবং জাপানের দক্ষিণাঞ্চল ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের জন্য একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

সিউলে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, যখন লোকেরা একটি বিমান হামলার সাইরেনের শব্দে জেগে উঠেছিল। একটি জরুরি বার্তায় তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছিল।

কোরীয় উপদ্বীপে এই ঝুঁকিটা বেশি, যেখানে দুই দেশের মধ্যে ৭০ বছর ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই মিথ্যা অ্যালার্ম মানুষের আস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন>> মস্কোয় ড্রোন হামলা: ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা না বাড়াতে রাশিয়াকে অনুরোধ ইইউ’র

সিউলে বসবাসকারী ৩৩ বছর বয়সী একজন মা কিম বিবিসিকে বলেছেন, তিনি খুব ভয় পেয়েছিলেন, যখন জরুরি সতর্কতা পেয়েছিলেন এবং তার ব্যাগ গোছাতে শুরু করেছিলেন।

কিম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করিনি যে সেখানে একটি যুদ্ধ হবে, কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধের পরে এটি আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল যে উত্তর কোরিয়া বা চীন [দক্ষিণ] কোরিয়া আক্রমণ করতে পারে।

তিনি ভেবেছিলেন যে পিয়ংইয়ং ‘তার মন হারিয়েছে’ এবং আক্রমণ শুরু করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে রকেটটি মাঝ আকাশে ভেঙে যেতে পারে বা রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পরে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। দেশটি সমুদ্রে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে মনে হচ্ছে এবং সরকার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে।

তিনি আরও জানান, উৎক্ষেপণের পর এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জাপান এর আগে বলেছিল যে তারা ভূখণ্ডকে হুমকির মুখে ফেলতে প্রস্তুত ছিল।

মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান রি পিয়ং চোল উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে বলেছেন, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বেপরোয়া সামরিক কর্মকাণ্ডের’ প্রতিক্রিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই উৎক্ষেপণের নিন্দায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। বলেছে, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলেছেন, ‘কূটনীতিতে দরজা বন্ধ হয়নি তবে পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে তার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এবং তার মিত্রদের রক্ষার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন। বলেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিয়ংইয়ংয়ের যে কোনো উৎক্ষেপণ প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধ।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সামরিক উপগ্রহের উন্নয়নকে তার দেশের প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সিউলের ইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিফ-এরিক ইজলি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সরকার সম্ভবত নিজেকে একটি মহাকাশ প্রতিযোগিতায় দেখছে এবং তার বর্তমান স্যাটেলাইট মিশন সফল হোক বা না হোক এটি নিয়ে রাজনৈতিক প্রচারণা জারি করবে বলে আশা করা যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাঙ্গুনিয়ার পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব গ্রেপ্তার
স্বাস্থ্যখাত এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের দখলে: ডা. রফিকুল ইসলাম
চরমোনাই পীরকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতাকে হুমকি!
৮৫ দিন পর সীমান্তে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা