লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খানের দাফন সম্পন্ন

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ খানকে বৃহস্পতিবার বিকালে মজলিসপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে রাজধানী ঢাকার এবারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তার লাশ শিবপুরে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের লোকজন তাকে দেখতে ভীড় জমায়। তার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পরেন।
মজলিসপুরে জানাজার পূর্বে বক্তব্য দেন- পলাশ থেকে নির্বাচিত এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহসিন নাজির, সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূইয়া রাখিল, মরহুম হারুনুর রশিদ খানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান তাপস, মরহুম রবিউল আউয়াল কিরন খানের ছেলে ফজলে রাব্বি খান, তার ভাতিজা অমীত খান প্রমুখ।
এর আগে শিবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুরে তার নিজ বাসায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে ৪১ দিন পর চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত বুধবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এদিকে হারুনুর রশীদ খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শিবপুর বাসস্ট্যান্ড, কলেজগেট বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা, কামারটেক, চৈতন্যা, সৃষ্টিঘর এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে সৃষ্টিঘর এলাকায় টায়ারে আগুন দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ভারতের দিল্লিতে চিকিৎসা নেন হারুনুর রশিদ খান। হৃদরোগ ও মূত্রনালিতে সংক্রমণসহ শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৭ মে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ মে রাত ১০টার দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৫টায় তিনি মারা যান।
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলির ঘটনার ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই নরসিংদী জেলা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করে। ঘটনার দুই দিন পর চেয়ারম্যানের ছেলে মো. আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদী হয়ে পুটিয়া এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের আরিফ সরকার (৪০), একই এলাকাল ইরান মোল্লা (৩০) ও হুমায়ুন (৩২), পূর্ব সৈয়দনগর গ্রামের মো: মহসীন মিয়া (৪২), মুনসেফেরচর গ্রামের শাকিল (৩৫) ও নরসিংদী শহরের ভেলানগরের গাড়িচালক নূর মোহাম্মদ (৪৮)। তাঁরা স্থানীয় এমপি জহিরুল হক ভূঞা মোহন ও তাঁর ছোট ভাই জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জোনায়েদুল হক ভূঞা জুনুর ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছে বাদীপক্ষ।
মামলার পর পুলিশ এজাহারের ৬ নম্বর আসামি নূর মোহাম্মদ এবং ৪ নম্বর আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নূর মোহাম্মদ। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি আরিফ সরকার, মহসীন, ইরান মোল্লা ও হুমায়ুন পলাতক রয়েছেন। তারা বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে দাবি পুলিশের।
(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এসএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

পুবাইলে প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নতুন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের শ্রদ্ধা

চাঞ্চল্যকর হোটেল নারীশ্রমিক হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আত্রাইয়ে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

তাড়াশে পৃথক স্থান থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরকে একটি আধুনিক শহর গড়ার পরিকল্পনা পৌর মেয়র মাসুম ভূঁইয়ার

সুনামগঞ্জে ভারতীয় চিনি ও পিকআপসহ আটক ১

নোয়াখালীতে ইন্টার্ন ভাতার দাবিতে নার্স ও মিডওয়াইফদের কর্মবিরতি

দুই শিশু নিহতের পর হালতি বিলে পর্যটকবাহী নৌকা চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ
