ইউক্রেনের বাঁধ ধ্বংসের পর বন্যা, সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১৭ হাজার বাসিন্দাকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২৩, ১৬:০১

দিনিপ্রো নদীর ওপর থাকা কাখোভবা বাঁধ ধ্বংসের পর প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশ কয়টি গ্রাম। রুশ নিয়ন্ত্রিত বাঁধটি ধ্বংসের পর দক্ষিণ ইউক্রেনের প্রায় দুই ডজন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ১৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।

ওয়াশিংটন সতর্ক করে বলেছে, ‘সম্ভবত অনেক মৃত্যু’ হবে কারণ মস্কো এবং কিয়েভ কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। বাঁধটি ফ্রন্টলাইনে অবস্থিত এবং ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য শীতল জল সরবরাহ করা হয় এর থেকে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠকের কথা ছিল।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে ফ্রন্টলাইনের উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কাছাকাছি বৃহত্তম জনসংখ্যার অঞ্চল খেরসনের লোকেরা দিনিপ্রো নদীতে জল ঢেলে উচ্চ ভূমির দিকে রওনা হয়েছে৷

প্রসিকিউটর জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিন বলেছেন, ‘৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। দিনিপ্রোর রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল থেকে আরও ২৫ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া দরকার।’

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে ‘গণ ধ্বংসের পরিবেশগত বোমা’ বিস্ফোরণের জন্য অভিযুক্ত করেছেন, বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ ৮০টি জনবসতি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে এবং বিশ্বকে ‘প্রতিক্রিয়া’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘এই অপরাধটি প্রচুর হুমকি বহন করে এবং মানুষের জীবন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে। তবে বিস্ফোরণটি ইউক্রেনের নিজস্ব অঞ্চল দখলমুক্ত করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে না।’

পশ্চিমা শক্তিগুলিও ক্ষতির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান চার্লস মিশেল এটিকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, বাঁধ লঙ্ঘন ছিল ‘আক্রোশজনক’।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘এই মুহুর্তে কী ঘটেছে তা চূড়ান্তভাবে বলতে পারে না।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, রাশিয়া বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে কিনা তা দেশটির সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে, তবে নিশ্চিতভাবে বলান সময় আসেনি।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আরেকটি বিধ্বংসী পরিণতি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজকের ট্র্যাজেডি মানুষের ওপর যুদ্ধের ভয়াবহ মূল্যের আরেকটি উদাহরণ।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই ধ্বংসলীলা ‘ইউক্রেনীয় পক্ষের ইচ্ছাকৃত নাশকতার’ ফল। মস্কো এবং কিয়েভ সুবিধার নিরাপত্তার পরস্পরবিরোধী মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :