সিগারেটের প্যাকেট বদলে দেওয়া: অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
সিগারেটের প্যাকেট বদলে দেওয়ার অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিমন খান, এএসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম মুন্সী এবং কনেস্টেবল মো. সাব্বির হোসেন।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়াও আরো দুজনকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১০ আগস্ট ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা পরিষদের সামনে আবদুর রব মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির একটি ফাস্টফুডের দোকান পরিচালনা করেন।
রব মোল্লার ভাষ্যমতে, এএসআই শিমন তার দোকানে এসে ২০ শলাকার বড় এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট বদলে ১০ শলাকার করে দুটি ছোট প্যাকেট দিতে বলে। কিন্তু দোকানে ছোট প্যাকেট না থাকায় তারা সিগারেটের প্যাকেট বদলে দিতে পারবেন না জানান। এ সময় তাদের পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় এএসআই শিমন। পরদিন তারা দোকান থেকে তাকে এভাবে মারতে মারতে থানায় নিয়ে নির্যাতন চালায়।
ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে আসা একটি সিসি ফুটেজে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, চরভদ্রাসন থানার এএসআই শিমন, এসআই ইব্রাহিম ও সাব্বির নামে তাদের এক সহযোগী চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত আব্দুর রব মোল্লার একটি ফাস্টফুডের দোকানে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা দোকানদার রব মোল্লাকে মারতে মারতে বের করে নিয়ে যায়। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রব মোল্লা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, থানায় নিয়ে গারদে আটকে তার ওপর অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়। তাকে রোলার ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। একপর্যায়ে তার নিকট এএসআই শিমন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্যদেরকে ওইদিন ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ভাষ্য, বাংলাদেশ পুলিশ সেবাধর্মী একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। কোন পুলিশ সদস্যের দুর্নীতি বা অসদাচরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন অপেশাদার আচরণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অপেশাদার আচরণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রেও দায়ী পুলিশ সদস্যদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এএ/কেএম)