চাকরির প্রলোভনে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কারাগারে শিক্ষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২২:৪০ | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২২:০৭

কুড়িগ্রামে চাকরির দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একটি মামলায় মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন নামে এক শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চাকরি প্রার্থী ভুক্তভোগীরা কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করার পর সম্প্রতি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন উপজেলার বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মো. আনছার আলী আমীন এর ছেলে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় বেকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছ থেকে মোট ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে চাকরি না দিয়ে ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম, রঞ্জু মিয়া, আলমগীরসহ অনেকের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নেন ওই শিক্ষক। উপায়ান্তর না পেয়ে চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত প্রতারক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

দীর্ঘ ১ বছর ৪ মাস জেল খাটার পর মামলা মীমাংসার কথা বলে হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের জামিন নিয়ে জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন। কিন্তু বের হয়ে আসার পর ভুক্তভোগীদের সঙ্গে মামলা মীমাংসা না করে আবারো বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও মীমাংসা না করায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে আবারো কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন। এ অবস্থা চাকরি না পেয়ে হতাশা আর ঋণের বোঝা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চাকরি প্রার্থীরা।

চাকরি প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের লোকজন সহায় সম্বল বিক্রি করে ঋণ ও ধার-দেনা করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিজ্ঞা আদালতের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আদালতের মাধ্যমে আমাদের টাকা ফিরে দেয়া হোক।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা: আফরোজা বেগম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় চেকের মামলায় সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শামসুল আলম বলেন, বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন নানান অভিযোগ ও অনিয়মে জেল হাজতে আছেন। অর্থ কেলেঙ্কারি মামলার দায়ে যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন বিজ্ঞ আদালত তার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :