বড় বিপদের নাম ফ্যাটি লিভার! জানুন এ রোগের কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪০
অ- অ+

মানবদেহের অন্যতম জরুরি অঙ্গ লিভার। এই অঙ্গটি উৎসেচক তৈরি করা থেকে শুরু করে দেহ থেকে টক্সিন বের করে দেয়া এবং বিপাকে সাহায্য করাসহ একাধিক জটিল কাজ একা হাতে নিপুণভাবে সামলায়। তাই এই অঙ্গের খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরি।

কিন্তু বর্তমানে ভুলেভরা জীবনযাত্রা ও অসংযমী ডায়েটের কারণে লিভারের উপরও থাবা বসাচ্ছে ঘাতক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে তলেতলে রোগের প্রভাব বাড়ে। এমনকি প্রাণঘাতী সিরোসিস ও ফাইব্রোসিসের ফাঁদে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়।

তাই যেনতেন প্রকারেণ ফ্যাটি লিভারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে হবে। ভাবছেন নিশ্চয়ই, এই রোগ প্রতিরোধ করবেন কীভাবে? সেই উত্তর জানাতেই আজকের এই প্রতিবেদন।

মদ্যপান নৈব নৈব

লিভারের শত্রু হলো অ্যালকোহল। নিয়মিত মদ্যপান করলে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই লিভারের হাল ফেরাতে অ্যালকোহোলের থেকে তফাত যান। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে। ফ্যাটি লিভারসহ একাধিক জটিল রোগব্যাধি থাকবে অনেকটাই দূরে।

অলস জীবন রোগের বাসা

ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল অসুখের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আপনাকে সারাদিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে। বিশেষ করে জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা হাঁটার মতো এরোবিক এক্সারসাইজ করলে উপকার মিলবে সবচেয়ে বেশি।

তবে চাইলে আপনারা জিমে গিয়ে স্ট্রেনথ ট্রেনিংও করতে পারেন। এতেও কিন্তু শরীরের হাল ফিরবে। এমনকি পাবেন পেশিবহুল মনমুগ্ধকর শরীর।

মিষ্টির থেকে দূরত্ব তৈরি করুন

মিষ্টি খেলে শুধু সুগারই ঊর্ধ্বমুখী হবে না, বরং ফ্যাটি লিভারের মতো ঘাতক রোগের পাল্লায় পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। কারণ মিষ্টি জাতীয় যে কোনো খাবারে থাকে অত্যধিক পরিমাণে ক্যালোরি। যা দেহে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয় এবং লিভারে জমে।

তাই তো ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে হবে। তাহলেই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে পারবেন।

তেল বেশি খেলেই ফাঁসবেন

বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনের মতো ফাস্টফুডে রয়েছে তেলের আধিক্য। এই তেল কিন্তু ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। নিয়মিত এসব খাবার খেলে হার্টসহ দেহের একাধিক অঙ্গের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না।

তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব ফাস্টফুডের থেকে দূরত্ব তৈরি করুন। এমনকি বাড়িতেই অত্যধিক তেল, মশলা দিয়ে রান্না করবেন না। এতেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।

গরু-খাসির মাংসই সমস্যার মূলে

আপনার অতি প্রিয় গরু আর খাসির মাংসে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। নিয়মিত এই মাংস খেলে একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী ফ্যাটি লিভারের জালেও জড়িয়ে পড়তে পারেন।

তাই যকৃতের হাল ফেরানোর ইচ্ছা থাকলে গরু আর খাসির মাংসের লোভ সামলান। যতটা সম্ভব কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাসে একবার খেলে আরও ভালো। তাহলেই সুস্থ-সবল জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
লালমনিরহাট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২০ জনকে পুশইন
রাতের আঁধারে কুমিল্লা সীমান্তে ভারত থেকে পুশইন, ৫২ জন আটক
কম্বোডিয়ায় দেখার আছে অনেক কিছু
রিট খারিজ, ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা