হরতালে সহিংসতার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাও আসামি

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:২৬ | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:২২

ফরিদপুরের সালথায় ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতাকেও। আওয়ামী লীগ নেতার নাম শাহীদুজ্জামান শাহিদ (৪৫)। তিনি ১২ নম্বর আসামি।

শাহীদুজ্জামান শাহিদ উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল মাতুব্বরের ছেলে এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

সালথা থানা পুলিশের দাবি, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের চৌরাস্তার মোড়ে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও ব্যানার পুড়ানোর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ১১টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র।

ঘটনার পর গত রবিবার সকালে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞানামা আরও অনেককে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ আসামির মধ্যে ১৭ জনই উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী। এর মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান (৫০), সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী (৪৮), সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল শেখ (৩৫), বিএনপি কর্মী সোহেল শেখ (২৮) প্রমুখ। আসামিদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীদুজ্জামান। তিনি ১২ নম্বর আসামি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীদুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, কী আর করবো। এ ঘটনায় আমার কী বলার থাকে। আসামি হিসেবে আমি আমার নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। এ বিষয়ে আমি এসআই পরিমল কুমার বিশ্বাসকে ফোন করেছিলাম। তিনি (পরিমল) জানিয়েছেন, ভুল হয়ে গেছে।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলার এ তালিকায় শহীদুজ্জামানের নাম কিভাবে এলো তা থানা কর্তৃপক্ষই ভালোভাবে জানেন। এর বাইরের আমার কিছু বলার নেই।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুজনকে আটক করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাদের নাম সংগ্রহ করে এ মামলাটি করা হয়েছে। তবে মামলাটি তদন্তকালে যদি প্রমাণিত হয় গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি ভুল নাম দিয়েছেন তাহলে সেই ব্যাপারে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(ঢাকা টাইমস/৩১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :