একগুচ্ছ কবিতা

কাঁধে তুলে নিতে পারি রক্তাক্ত লাশ
বৃথায় সময় কাটায় তোমার পানে চেয়ে-
অস্থিরতায় ভরে গেছে আমাদের চারিপাশ
বারুদের গন্ধে-সারা রাত জেগে
দুশ্চিন্তায় মাথা ভারী হয়ে আসে-ঠিকানাহীন আমি
মানুষের মত হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরি অতীত ভিটা
মাকে কখনো দেখিনি চিন্তাহীন জীবন চালাতে
গভীর মনোনিবেশ সংসার নামের পৃথিবী যানে
নিজেকে সপরিবারে চালনা করেন...কি স্বচ্ছ রাষ্ট্রপতি তিনি।
নিস্তব্ধ এক নদীর পাড়ে যাব বলে- আমি
তোমাদের বিবেকের পথ চেনায়- ঝরা রক্তে তোমরা
এগিয়ে যাও প্রতিযোগিতায় সাতারু চঞ্চলতায়...
ন্যায্যতার প্রশ্নে আমিও বিশ্বসুন্দরী মেয়েকে-
রক্তাক্ত করে কাঁধে তুলে নিতে পারি লাশ।
দৃঢ়প্রত্যয়ে একথা বলেছি বলে- হয়েছি নির্বাসিত
কালো চশমায় দেখি তোমাদের সমাজ।
অপেক্ষা-প্রতীক্ষা-প্রেম
এক পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি
বসে আছি- মিছে প্রতীক্ষা
তবু বসে আছি- মিলনের অপেক্ষা।
মারমুখী অপেক্ষার কোনো দাম নেই
নেই তার চরিত্র- চোখে যে জল
এখানেও ছলনা থাকে-থাকে মানুষ ভোলানো ছল
কিসে আছে প্রেম- কিসে মেলে ভালোবাসা।
আপেক্ষিক তত্ত্ব-বাবা চলে গেলেন
হারিয়ে গেল সম্পর্কের সব মায়াজাল।
যারা টিকিয়ে রাখতে চান সম্পর্ক নামের পশমী রেণু
তারাও ভোগেন মনোকষ্টে-
তাদেরও থাকে চোখে মুখে হাসির ঝলক।
এই যে বিষাদী চিহ্ন-এইটাই মায়া; এটাই প্রেম-ভালোবাসা।
আমি এক ব্যর্থ মানব
প্রতিটি মুহূর্ত মনে হয়- দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাঁচি
ভাবনার দেয়াল নিয়ত ঢুকে যাচ্ছে নিজের ভেতর
ছোট হয়ে আসছে বসবাসের ভূমি
চারিদিকে মানুষ নেই-শয়তানের চেলাদের-
অসারতায় ভরে গেছে চারিপাশ।
ছাতিমফুলের মৌনতায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে গেলে
দ্রব্যতার ছুরি স্বর্ণালী মোড়কে গলাকাটে বাজার বেলা
সম্ভাবনার দৌড়ে আমরা পরাস্ত সৈনিক
যতটা পারি হাঁটি পথ... সামনে আলো
বঞ্চনার এই যে ধোঁয়াশা তোলে প্রতিবেশীর
প্রভাবশালী পিতা-তবু চোখের জলে ছুটে চলি নিরাপদ-
কোথাও; আমি এক ব্যর্থ মানব...
তাঁত পল্লীর সিরাজ
কমরেড; ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে রেলস্টেশনে এসে থামলেন। বিদগ্ধবিকেল- চারিদিকে শুনসান নীরবতা। বিকট আওয়াজে চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে। নীরব গোঙানি মানুষের মাঝে- চারিদিকে উৎসুক জনগণ...
একটি মৃত মানুষ- পড়ে আছে জলে
পাহীন- কুৎসিত চেহারা
চরমপন্থিদের হাতে খুন...

মন্তব্য করুন