ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার কাছে হারল ব্রাজিল

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪
অ- অ+

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের মাঠে লিওনেল মেসিদের পেয়েও হারাতে পারল সর্বাধিক বিশ্বকাপ জয়ী দল ব্রাজিল। উল্টো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে নেইমার-জেসুসদের।

মঙ্গলবার রাতে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই মহারণের প্রথমার্ধে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল না কোনো দলই। ফাউলের ঘটনায় একাধিকবার ছড়ায় উত্তাপ। গোলের জন্য দুই দলের চেষ্টা সেভাবে দেখা যায়নি। নিষ্প্রভ ছিলেন লিওনেল মেসি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন চেহারায় ফেরে আর্জেন্টিনা। দারুণ এক আক্রমণে পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। সেই ব্যবধান ধরে রেখে ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত করে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

উরুগুয়ে, কলম্বিয়ার কাছে হারের পর আর্জেন্টিনা ম্যাচ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে থাকতে হলো সেলেসাওদের। এতে টানা তিন ম্যাচ হেরে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে নেমে গেল ব্রাজিল।

অন্যদিকে, উরুগুয়ের কাছে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আর্জেন্টিনা। ৬ ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলেন লিওনেল মেসিরা।

এদিন মারাকানায় অবশ্য নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি ম্যাচ। খেলা শুরুর আগেই গ্যালারিতে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকরা জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। পুলিশের সঙ্গেও সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। ফলে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়।

বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন এ ঘটনায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্যালারির দিকে ছুটে যান লিওনেল মেসি, মার্কোনিওসরা এবং শান্ত হতে বলেন সমর্থকদের। এরপর মেসিরা মাঠ ছেড়ে যান। এতে ম্যাচ পিছিয়ে যায় আধ ঘণ্টা।

খেলা শুরুর পর লড়াই চলে মাঠেও। দুই দলের খেলোয়াড়দের দেখা যায় আগুনে চেহারায়। প্রথমার্ধে ২২টি ফাউল করে দুই দল। ব্রাজিল ১৬টি, আর্জেন্টিনা ছয়টি। দুই দলের ফুটবলাররা কথার লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন।

নবম মিনিটে প্রথম আক্রমণে উঠে আর্জেন্টিনা। মার্কুস আকুনার বাম পায়ের শট অবশ্য ব্রাজিলের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে আটকে যায়। উত্তপ্ত ম্যাচের ১৫ মিনিট যেতে না যেতেই ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রাফিনিয়া হলুদ কার্ড দেখেন। সময় বাড়লে ব্রাজিলও আক্রমণে মনোযোগী হয়। সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিল ফার্নান্দো দিনিজের দল।

কিন্তু সেভাবে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না রাফিয়ানিয়া-রদ্রিগোরা। সেরা সুযোগ নষ্ট হয় মধ্যবিরতিতে যাওয়ার একটু আগে। বক্সের সামনে থেকে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই দল গোলের খোঁজে আক্রমণে বেশি মনোযোগী হয়। ৫৩ মিনিটে ভালো সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি রাফিনিয়া। ব্রুনো গিমারেসের লম্বা করে বাড়ানো পাস রাফিনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিলেও তার শট এগিয়ে এসে ফেরান আর্জেন্টাইন বাজপাখি এমিলিয়ানো মার্তিনেস।

একটু পরেই আরেকটি দুর্দান্ত সেভ দেন মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জেসুস, তবে নিজে শট না নিয়ে পাশে থাকা মার্তিনেল্লিকে বাড়িয়ে দেন। কিন্তু মার্তিনেসকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। তার দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

৬৩ মিনিটে মারাকানা স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি। তার এগিয়ে যান মেসিরা। জিওভানি লো সেলসোর কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন ওতামেন্দি। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় ব্রাজিল কিন্তু পারেনি।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা