দেশজুড়ে নির্বাচনি ব্যস্ততা, কোন পথে বিএনপির রাজনীতি

সামিয়া রহমান প্রিমা, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:১৮ | প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যতীত নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না আসায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। রাজপথে প্রধান এই আন্দোলনকারী দলটির বর্তমান অবস্থা কি? সরকার কি বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার পথে হাঁটছে? নির্বাচনে না এলে কীভাবে ভোটের রাজনীতিতে টিকে থাকবে বিএনপি? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান বিশ্লেষণ করে এসব উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ঢাকা টাইমস।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এরপর ২০১৮ সালে অংশ নিলেও ‘রাতের ভোট’ কিংবা অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে সংসদীয় বিরোধী দলের অবস্থান থেকে সরে আসে অন্যতম এই রাজনৈতিক দল। এদিকে বিএনপি আসুক বা না আসুক, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় যথাসময়েই নির্বাচন করতে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কোন দল নির্বাচনে আসলো কি আসলো না তার চেয়ে বড় বিষয় কত ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি সবচেয়ে মুখ্য বিষয়। আমরা নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসব দেখতে পাচ্ছি তাতে আশাবাদী যে জনগণের উপস্থিতির মধ্য দিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
এদিকে ভোটাররা এমনিতেই ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে মত দিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এক্ষেত্রে দুটি কারণ দেখেন বিএনপির এই নেতা। প্রথমত, জনগণের মাঝে ভোটকে কেন্দ্র করে কোনো উৎসব নেই। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে সহিংসতার আশঙ্কা।
রুমিন ফারহানা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভোটাররা গত নির্বাচনগুলো থেকে জেনেছে তার ভোট দেওয়া বা না দেওয়াতে কিছু যায় আসে না। সে ভোট দিক আর না দিক, যা হওয়ার তাই হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মারামারি লেগে গেছে। তো এই বাস্তবতায় সাধারণ মানুষ জীবনের ভয়েই ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল কি না এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, নির্বাচনে মানুষের ভরসা না থাকলে এই সরকার টিকে থাকতে পারত না।
তবে এর পাল্টা জবাবে বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই বহু বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকে। তবে তারা কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার? জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তো সেখানে কি আপনি বলবেন তিনি জনগণের সমর্থন নিয়ে ছিলেন ক্ষমতায়?’
এদিকে রিকশাচালক, প্রায় ৭৫ বছর বয়সি হাশেম মিয়া ভোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘দোকান দুইটা থাকলে যাচাই করা যায়।’ এতটুকুই ছিল তার বক্তব্য।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন
বিএনপির সবশেষ ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে সরকার পতনের দাবিতে টানা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিয়মিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ধরপাকড়, মামলা-হামলা ও নিপীড়ন পরিস্থিতি তুলে ধরছেন। দলটির সবশেষ হিসাব অনুযায়ী গত ১ মাসে সারাদেশে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার প্রায় ১৯ হাজার। মোট মামলা ৫শর অধিক। আন্দোলনে আহত প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী এবং মৃত্যু ঘটেছে অন্তত ২০ জনের।
নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে গত জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৩২টি। এ সময়ে নিখোঁজ বা গুম থাকা বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫৮০ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ধরপাকড়ের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘পুলিশ তাদেরকেই ধরে যারা অপরাধী। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এখন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে।’
তবে কম সময়ে এত এত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং প্রকৃত অপরাধীরাই আইনের আওতায় আসছে কি না এই বিষয়ে জনমনে আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা কাজ করি। প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিযান চালানোর বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা জানতে চাইলে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের এই পুলিশ সুপার বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা করে কোনো চাপ নেই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে কারণ তারা পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রতিনিয়ত মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। এই দায়ভার আপনাকে নিতে হবে না? আপনি রাজনৈতিক নেতা বা যেই হোন না কেন কেউ তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
বিএনপির রাজনৈতিক সংকট
রাজধানীতে মাত্র ৩ কিলোমিটারের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রধান কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বইছে নির্বাচনি উৎসব। অন্যদিকে পল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকেই ঝুলছে তালা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ২৬ নভেম্বর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশেই উৎসবে মেতে উঠেছেন দলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে ঘরে-বাইরে কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। জানা যায়, নির্বাচনের আগে সারাদেশেই বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারের পদত্যাগ, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও নানামুখী নিপীড়নের প্রতিবাদে আগামী ১০ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা শহরে মানববন্ধনের ঘোষণা এসেছে। ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় চলছে হরতাল-অবরোধ।
তবে এই আন্দোলনে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ কোনো নেতাকর্মীর সরব উপস্থিতি নেই। একইসঙ্গে লক্ষণীয় যে ৮০ ও ৯০ দশকের মতো এসব সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বিএনপি। সে সময়ের হরতাল কর্মসূচিতে রাজপথের চিত্র আর এখনকার চিত্র অনেকটা ভিন্ন। এই বাস্তবতায় বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্য রয়েছেন ১৯ জন। দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর বর্তমানে নিজগৃহে বন্দি খালেদা জিয়া। গুরুতর শারীরিক জটিলতার কারণে শুধুমাত্র দেশের হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি আছে। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দলটির প্রধান নেতা তারেক রহমান আছেন লন্ডনে।
এর মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ প্রধান নেতাদের একটি বড় অংশই রয়েছেন কারাগারে।
গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অনেকেই। শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বেগম সেলিমা রহমান এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ভারতে দায়ের হওয়া মামলা থেকে মুক্তি পেলেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হয়েই দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর।
এদিকে বিএনপি ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে আছে। এবারও জাতীয় নির্বাচনে না আসায় সারাদেশে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের একের পর এক বহিষ্কার করছে বিএনপি। জানা যায়, কুমিল্লা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এরই মধ্যে সাবেক ও বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রায় ১৫ জন বিএনপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই বাস্তবতায় বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না এই প্রশ্ন নাকচ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দল যে দুর্বল হয়নি তার প্রমাণ হচ্ছে- স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত দমনপীড়নের পরেও দল ভাঙ্গেনি। নেতাকর্মীদের অনেক লোভ দেখিয়েছে, সেখানেও কেউ পা দেয়নি। বিএনপি করলে আপনি কি পাচ্ছেন? হামলা-মামলা আর গুম হচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে। তারপরেও কেউ সরে যাচ্ছে না। এটাই আমাদের সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ। এখন সাধারণ মানুষও ভোটাধিকার ফিরে পেতে ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি অবশ্যই একটি বড় দল হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিত। কিন্তু সেই দলের নেতা তারেক রহমান দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড, বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক। শুধু বাংলাদেশে নয়, সিঙ্গাপুরের আদালতেও অপরাধী প্রমাণিত। তারেক রহমানের মতো সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে যতদিন দল থাকবে, ততদিন এই দল দেশে হরতাল-অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই চালাবে। জানমালের ক্ষতি করবে। সেই দল নির্বাচনে থাকলো কি থাকলো না এটা বিষয় হতে পারে না।’
তবে রাজধানীর বাংলামোটরে প্রায় ৪৫ বছরের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জিনিসপত্রের যে দাম এতে কীভাবে বাঁচবো সেটাই বুঝতে পারছি না। বাজারে এখন আর ব্যাগ নিয়ে যাই না। ভোট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এনিয়ে আর ভাবতে পারছি না। ভালো লাগে না।’
বড় বড় ব্যবসায়ী ও আমলা-প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে যে সরকার টিকে থাকে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এ ধরনের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পৃথিবীর কোথাও সহজ হয়নি। অতএব আমাদের লড়াইটা কঠিন। এই পথটা হয়তো বা দীর্ঘ। কিন্তু অসম্ভব একেবারেই নয়।’
বিএনপির উত্তরণের উপায় কী
এদিকে দলের এমন রাজনৈতিক সংকটে বিদেশ থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক ও প্রগতিশীল বিভিন্ন মহলে। বিএনপির দাবি দেশে তারেক রহমানের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। দেশে ফিরেই বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে কারাবরণ করতে হবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে যেখানে দলটির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারাও কারাগারে আছেন সেখানে রাজনীতিতে এই যুক্তি কতটুকু যৌক্তিক এই প্রশ্নও রয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেখুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার মৃত্যুর মুখে দাঁড় করিয়েছে। রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। মহাসচিব জেলে, এরপর তারেক রহমান জেলে গেলে কে রাজনীতিতে পথ দেখাবে? দূরে থাকলেও তিনি দলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক আছেন। তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান করা রাজনৈতিক কৌশল।’
তবে বিএনপি কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন দল বা অন্যপক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা নিচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলে। এ ধরনের অভিযোগ ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথেষ্ট প্রমাণ আছে।’
সারাদেশের মানুষের উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এই সংগ্রামটা বিএনপির একার না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক জনগণ। মানুষ যাতে তার নিজেদের অধিকার ফিরে পায়, মানুষ যেন নির্দ্বিধায় তার প্রতিনিধি বাছাই করতে পারেন। এই সংকটে এবং মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমি মনে করি সশরীরে বিএনপির আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের শামিল হওয়া উচিত। যদি না পারেন, নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেন। কণ্ঠ উঁচু করেন, লেখালেখি করেন। সরাসরি না পারলেও সমর্থন দেন।
ঢাকাটাইমস/৬ ডিসেম্বর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

৭ নভেম্বরের ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল স্বৈরাচার সরকার: ডা. জাহিদ

আওয়ামী সরকারের নদী-খাল ভরাট পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে: আমিনুল হক

নোয়াখালী-ফেনীর সাবেক তিন এমপির সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি

সরকারের বিশেষ লোক দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করে যাচ্ছেন: মির্জা আব্বাস

বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল

দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে ছাড় দেওয়া হবে না: নয়ন

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করে জনগণের হাতে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া উচিত: নাছির

ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নিন: ন্যাপ

ভিসা প্রক্রিয়া শেষ, ৮ নভেম্বর লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া

গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জিয়া পরিবার অপরিহার্য: এসএম জিলানী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :