ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসছে বিপদ, এবার বেলজিয়ামের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২৬

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নানান পদক্ষেপ। যার মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ রয়েছে কঠোর রাজনৈতিক চাপ ও বার্তা।

এই ধারাবাহিকতায় এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থী ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীর এক্স পোস্টের বরাতে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার দি ক্রো ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলাকারী হিংসাত্মক ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বেলজিয়াম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।

এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে আলেকজান্ডার বলেন, পশ্চিমতীরে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করব।

এর আগে ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে জার্মানি।

বুধবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই ঘোষণা করেছিল যে, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। জার্মানি এই ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। জার্মানি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও চরমপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করুক।

এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে সমর্থন দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার তিনি এক্সে লিখেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদের এবং সমমনা অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাই।

এদিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে আর্টিকেল ৯৯ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে চিঠি লিখেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। ২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবার তিনি এ সনদের আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘের ৯৯ অনুচ্ছেদ এমন একটি সনদ যা সংকটকালীন মুহূর্তে ব্যবহার করা হয়। মহাসচিব যদি মনে করেন কোনো ইস্যুতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে তাহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণে ৯৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারেন। বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে এটি ব্যবহারের নজির নেই।

চিঠিতে গুতেরেস বলেন, পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে অবনতি হচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনিদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। গাজায় মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। এ অবস্থায় আমি মানবিক বিপর্যয় রোধে সাহায্য করতে এবং একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন এক্সে লিখেছেন, অ্যান্তেনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতির যে আহ্বান জানিয়েছেন তা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে’ দেয়া তার সমর্থন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগও দাবি করে কোহেন বলেন, গুতেরেস নতুন করে নৈতিকতার নিচে নেমে গেছেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বানের অর্থই হলো গাজায় হামাসকে তাদের ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব করতে দেয়া। মহাসচিবের এমন অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধ শুধু দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, তার এমন আহ্বানের ফলে হামাস আশার আলো দেখতে পাবে এবং তারা টিকে থাকতে পারবে।

(ঢাকা টাইমম/০৭ডিসেম্বর/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :