কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শেয়ালের কামড়ে আহত ১৪ 

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৩ | প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫১

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শেয়ালের কামড়ে ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য সোয়েব মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মহাখালী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেকে ১৪ জন রোগী শেয়ালের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতরা হলেন- পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার কাজী আল আমিন (৪০), শুভ (২২), আলম (২০), সোয়োব মোল্লা (৫০), তমাল খা (২৪), চন্ডিবের, অনিক মোল্লা (২৬), পুলতাকান্দা এলাকার সোলেয়মান (৩৬), ভৈরবপুর গ্রামের আরমান (২৬), উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রবিন মিয়া (১৯) মধ্যচর গ্রামের সোহেলা বেগম (৩০), রুবেল (২৮), ফরিদ মিয়া (৪৩), জামালপুর গ্রামের মোশারফ (৩৫), এছাড়া পাশ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার তানভীর (২৬)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের, পুলতাকান্দা, ভৈরবপুর ও উপজেলার শিমুলকান্দি, মধ্যচর, জামালপুর এলাকায় শেয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্য একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মহাখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শেয়ালের কামড়ে আহত পৌর শহরের চন্ডিবের মোল্লা বাড়ির অনিক মোল্লা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার বাসার ভেজা কাপড় শুকাতে অন্য বাসাতে যাওয়ার সময়ে যখন বাসার গেইট খুলি ঠিক তখনই হঠাৎ করে একটি পাগলা শেয়াল দৌড়ে এসে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন আমি আমার সাথে থাকা বালতি দিয়ে তার কাছ থেকে বাঁচতে শেয়ালটিকে আঘাত করে দূরে সরিয়ে দেয়। কিন্ত তাতেও সে থামেনি পরবর্তীতে আবার শেয়ালটি দৌড়ে এসে আমার হাত ও পায়ে কামড় দেয়। তারপর তার কাছ থেকে বাঁচতে আমি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ইমন মোল্লা বলেন, সারাদিন বৃষ্টি থাকায় সবাই যার যার মত করে ঘরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাদের এলাকায় একটি শেয়াল ৭-৮ জনকে কামড়ে আক্রান্ত করেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এছাড়া তাদের মধ্য সোয়েব মোল্লা গুরুতর আহত হয়েছেন তাকে মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোজাম্মেল হক বলেন, শেয়ালের কামড়ের ঘটনায় আর্তকে আমাদের এলাকায় কেউ বাসা থেকে বের হয়নি। রাতে আমার ঘরের সামনে যখন শেয়াল কামড় দিতে আসে তখন আমি লাঠি বল্লম দিয়ে দৌড়ানি দেয়।

পরে এলাকাবাসী মিলে পাগলা শেয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ জানান, উপজেলা ও পৌর শহরের ১৪ জন রোগী শেয়ালে কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে আইসিডিডি আরবি ঢাকা মহাখালিতে রেফার্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারে দেয়া ইমুনিগ্লুভিন টিকা রোগীদের দেয়া হয়েছে। সম্ভবত শিয়ালটি রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তাতেই সে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে সবাইকে কামড়াচ্ছে। যারা আক্রান্ত তারা দ্রুত ভ্যাকসিন নিলে আর ক্ষতি হবে না। সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে তিনি জানান।

(ঢাকা টাইমস/০৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :