কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-সাবাহ মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৪ | প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১৬

কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। খবর আল-জাজিরার।

শনিবার বিকালে কুয়েতের রাজকীয় আদালতের এক বিবৃতির বরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই তথ্য সম্প্রচার করা হয়।

কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি... ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা জানিয়েছে, গত মাসে জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে আমির শেখ নওয়াফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।তবে তার মৃত্যুর কারণ জানায়নি কতৃপক্ষ।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের তৎকালীন আমির ও তার সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর দেশটির আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ।

২০০৬ সালে কুয়েতের আমিরের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ক্ষমতায় আসার কয়েক দশক আগে থেকেই কুয়েতের সরকারি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯০ সালে দেশটিতে ইরাকি সৈন্যদের হামলার সময় তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

আলজাজিরা বলছে, শেখ নওয়াফের সৎ ভাই, ৮৩ বছর বয়সী শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের দেশটি পরবর্তী আমির হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকা সফরে এসেছিলেন তৎকালীন কুয়েতের আমির কুয়েত সাবাহ আল-সালিম আল-সাবাহ।

এছাড়াও ১৯৯১ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার পরে, সৌদি আরবকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডের জন্য সৈন্য পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসাবে বাংলাদেশও প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে লড়াই করেছিল। যুদ্ধের পরে ২০১৬ সালের মধ্যে, ‘অপারেশন পুনর্গঠন কুয়েত’ এর অধীনে উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাক বাহিনীর রেখে যাওয়া ল্যান্ড মাইন পরিষ্কার করতে ৭২৮ জন বাংলাদেশি সেনা মারা গিয়েছেন। আহত হন আরও ১৫২ জন। মাইন পরিষ্কার অভিযানের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।

অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সুসম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে। ২০০০ সালে কুয়েতে আনুমানিক ২০ লাখ অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক ছিল। ২০১৬ সালের মার্চে উভয় দেশ প্রতিটি দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এছাড়াও ২০১৬ সালের মে মাসে কুয়েত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনে সহায়তা করতে সম্মত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/এমআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :