অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত রাখার অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুর রাখার অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও একটি গুদাম সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার বিকালে জেলার মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে প্রশাসন। রাতে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠাগুলো হল- মহাদেবপুর উপজেলার হাটচকগৗরী এলাকার মেসার্স তাসিলমা চাউল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, বাগাচাড়া এলাকার মেসার্স থ্রিস্টার মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের রাউতারা বাজারের বাবু সোনারকে ১ লাখ টাকা, বক্কর সোনার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার টাকা ও নেহা ট্রেডার্স নামে আরও এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান সোহাগ বিকালে উপজেলার ওই দুই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এ সময় সিলিং বহির্ভূত মজুদ, ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় ও মজুদ চাউলের হিসাব সংরক্ষণ না রাখায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মোরশেদ জরিমানাকৃত তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এ সময় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুদ, ধারণ ক্ষমতার বেশি ধান মজুদ ও অবৈধভাবে ধান মজুদের অপরাধে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বাবু সোনার নামে একটি ধানের গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়।
মিডিয়া সেলের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক জানান- ওই ৫ প্রতিষ্ঠানের মজুদ করা ধান সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে এসিল্যান্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপজেলা খাদ্য অফিসার এবং একজন এসআইয়ের সমন্বয়ে একটি টিম করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতদারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পারভেজ আনোয়ার প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/ ইএইচ)