১২ দফা দাবি আদায়ে ‘ইনসাব’ এর মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯
অ- অ+

মৌলিক অধিকারসহ ১২ দফা দাবি আদায়ে ‘নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবস’ পালন করেছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাজেটে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য জোর দাবি জানান তারা।

আয়োজিত মানববন্ধনে ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, শ্রমিক নির্মাণ শিল্পে প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। বিদেশেও কর্মরত আছেন কয়েক লাখ নির্মাণ শ্রমিক। নির্মাণ শ্রমিকদের এ কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।

তিনি বলেন, কর্মস্থলে শ্রমিকদের কোনও নিরাপত্তা নেই। এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের দেখভাল করারও কেউ নেই।

ইনসাবের ১২ দফা দাবি-

১. সরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা শহরে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক নির্মাণ কলোনি স্থাপন করে সুলভ মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে। কলোনীতে শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল এবং চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভা প্রতিমাসে একবার করতে হবে। তহবিল থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ব্যাপক কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং সাহায্যের আবেদন ফরমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. শ্রম আইনের আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রেশনিং ব্যবস্থা, দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহত

বা আজীবন পঙ্গুত্ব বরণকারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ILO কনভেনশন ১২১ মোতাবেক Loss Of Earn- ing Year (এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ) এর ভিত্তিতে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে কোনোভাবেই যেন শ্রমিকদেরকে ১৫ লক্ষ টাকার কম ক্ষতিপূরণ যাতে না দিতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৪. নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের অধিকার বাস্তবায়নে যাতে সহজে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা/উপজেলায় শ্রম আদালত স্থাপন করতে হবে এবং অধিকার ও পাওনাদির বিষয়ে ৪২ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

৫. ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ এবং নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. শ্রম আইন সংশোধনী ২০০৬ এর ৩২৩ ধারা মোতাবেক জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য কাউন্সিলে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এ প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৭. কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিকরা যাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮. সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে শুধু সার্ভিস চার্জ নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ

দিয়ে বিদেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের হয়রানি ও দুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে।

৯. সরকারি উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে থানা ভিত্তিক এবং জেলা ও উপজেলায় শ্রম ছাউনি নির্মাণ করতে হবে।

১০. নারী নির্মাণ শ্রমিকদের সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিত করতে হবে।

১১. নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য রেজিস্ট্রার খাতা রাখার বিধান সকল নির্মাণাধীন ভবনে বাস্তবায়ন করতে হবে।

১২. নির্মাণ শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কার্যকর করতে হবে।

মানববন্ধনে ইনসাবের সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খানসহ ইনসাবের কেন্দ্রীয়, বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ডের নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/এমআই/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কারাগারে সেলিনা হায়াৎ আইভী, যে মামলায় গ্রেপ্তার
মির্জাপুরে উদ্ধার হওয়া গরু ফিরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা চাইলেন এসআই
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর: তাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তবুও বহাল...
পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরানো হবে রিশাদ ও নাহিদকে!
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা