সরেজমিন
পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে
নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষের হাহাকার কমার কোনো লক্ষণ নেই। প্রতিদিনের দরকারি পণ্য পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে অনেক দিন। পাঁইকারি বাজারে দাম কমলেও কমছে না খুঁচরা বাজারে।
বুধবার সন্ধায় রাজধানীর শ্যামবাজারে সরজমিনে ঘুরে পেঁয়াজের পাইকারি আড়তগুলোতে দেখা যায়, কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০ টাকা কমেছে। কিন্তু এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। গত দুই দিন আগে যেই পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৭৮-৮৫ টাকা দরে, বুধবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি খুচরা বাজারে। শ্যামবাজারের পাশেই বাংলাবাজার, লক্ষীবাজার খুচরা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শ্যামবাজারে পেঁয়াজের আড়ৎ পপুলার বাণিজ্যালয়ের পরিচালক জগদীশ চন্দ্র বলেন, ‘আজ (বুধবার) আমরা পাইকারি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি করেছি ৬৮-৭৫ টাকার মধ্যে, যা গত দুই দিন আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা।
শ্রীনগর ট্রেডার্সের একজন (নাম নেই) বলেন, আমরা আজ পাইকারি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৬৮-৭৫ টাকা মধ্যে, অবশ্যই গত দুইদিন আগে ছিলো তা ছিলো ৮০-৮৫ টাকা।
মেসার্স আলী ট্রেডার্স ও মেসার্স রাজিব বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতারাও একই তথ্য জানান।
অন্যদিকে, লক্ষীবাজার পাতলা খান লেনের ‘প্রতিদিনের বাজার’ দোকানে খুচরা পেঁয়াজ কেজি ১০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাবাজারের মাহফুজ জেনারেল স্টোরেও দেখা গেছে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা।
লক্ষীবাজারের পাশে ১০ জনের একটি ছাত্র হোস্টেলের পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘গত দুইদিন আগে লক্ষীবাজারের ৫নং গোবিন্দ দত্ত লেনের কালাম স্টোর থেকে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে। সেই একই পেঁয়াজ আজ (বুধবার) কিনলাম ১০০ টাকা দিয়ে। তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের শিক্ষা জীবন চরম বেকায়দায় পড়বে।’
শ্যামবাজার পাইকারি পেঁয়াজ আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, এখন দেশে তেমন পেঁয়াজ আমদানি হয় না, যা আছে তার ৯০ শতাংশ দেশি পেঁয়াজ। আর তাই কৃষক যখন বেশি পেঁয়াজ বাজারজাত করে তখন পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম থাকে আর যখন কৃষক বাজারজাত কম করে তখন একটু বেশি দাম থাকে। তাই আমি মনে করি গত দুইদিন আগে পেঁয়াজের দাম ৮০-৮৫ টাকা ছিল আর এখন ৬৮-৭৫ টাকা।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এসআইএস/