খাদ্যমেলার শেষ দিনে বিআইসিসিতে বসেছে পিঠার হাট

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৪

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের সেফ ফুড কার্নিভাল’ শীর্ষক খাদ্যমেলার শেষ দিনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। উৎসবে নানা ধরনের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন অর্ধ-শতাধিক উদ্যোক্তা।

ফুলঝুড়ি, দুধপুলি, সেমাই পিঠা, বিবিখানা, নারিকেল পুলি, ক্ষীর সেমাই, চিকেন বিং, ঝাল চিংড়ি পিঠা, শাহী ভাপা, ডিম সুন্দরী, ডাল সুন্দরী, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, ডিমের পানতোয়া, ধুপাই, নকশী, জামাই, গোলাপ, মাংসপুলি, চুই পিঠা, মালাই পিঠা, নোনতা ভাপা পিঠা, চুষি পিঠাসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উদ্যোক্তারা।

সেইফ ফুড কার্নিভাল আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক বিএফএসএ সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, ‘পিঠা বাংলাদেশের একটা দারুণ ঐতিহ্য। যথাযথ খাদ্যের নিরাপদতা মেনে এই ঐতিহ্যগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই মূলত আমাদের এই আয়োজন। অংশগ্রহণকারী সবাই যেভাবে নিরাপদতা মেনে পিঠা প্রস্তুত পরিবেশন করছেন দেখে ভালো লেগেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এই আয়োজনে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে খাদ্য মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী লেখক হাসিনা আনছার এবং রেবেকা খান, উপপরিচালক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

কামাল হোসেন বলেন, আয়োজন আমাদের শেকড়কে মনে করিয়ে দিচ্ছে। নিরাপদতার মাপকাঠিগুলো মেনে যদি পিঠা প্রস্তুত পরিবেশন করা হয়, তাহলে আমাদের ঐতিহ্যসমূহ আরো টেকসই থাকবে।

এই কার্নিভালে অংশ নেওয়া পিঠা বিক্রেতা হাসিনা আনছার বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজন পিঠা তৈরীকারকদের মাঝে আরো সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

সাভার থেকে এই মেলায় আসা প্রভাষক মাসুদা আক্তার বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজন আমাদের মতো শত শত উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরী করবে। নিরাপদতা বজায় রেখে পিঠা তৈরী হলে দেশের ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি খাতকে আরো সমুন্নত করা যাবে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে কার্নিভালে স্টল নিয়ে অংশ নেওয়া তৈয়বা আক্তার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আমরা চাইবো প্রতি বছর যাতে এমন আয়োজন করা হয়। এতে করে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষিত হবে।

পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মেরিনা সুলতানা, দ্বিতীয় হয়েছেন শারমিনা জেসমিন তুলি এবং তৃতীয় হয়েছেন নুসরাত জাহান। পুরস্কারবিজয়ীরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এলএম/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :