শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের প্রতারণা, ডিসির কাছে অভিযোগ

এসএসপি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিবেন বলে ৬ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু পরীক্ষায় সুযোগ করে দিতে পারেননি।
নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থী অর্পিতার বাবা গৌরাঙ্গের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের কাছে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীরা হলো- মেঘলা, চাঁদনী, তৈয়বা, জান্নাতুল, অর্পিতা ও সুমাইয়া। তারা নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে দেবেন বলে ওই শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার পর কোনো প্রকার চেষ্টা করেননি। যার কারণে ওই সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
এর আগেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম ফরম ফিলাপের কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চাঁদনী বলে, আমরা নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে টেস্ট পরীক্ষা দিই। আমাদেরকে পরীক্ষার রেজাল্ট জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে ফরম ফিলাপ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা ও অন্যান্য ফি বাবদ দশ হাজার টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে উনার কথামতো আমরা কয়েক ধাপে মোট ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা দেওয়ার পরও কেন পরীক্ষা দিতে পারলাম না। আমরা এর বিচার চাই।
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/পিএস)

মন্তব্য করুন