যে কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটার
ভারতের ক্রিকেটারদের ঘরোয়াতে খেলা বাধ্যতামূলক করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দীয় চুক্তিতে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের জেনারেল সেক্রেটারি জয় শাহ।
রঞ্জিতে না খেলার শাস্তি পেতে যাচ্ছেন এবার শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈশান কিষাণ। ঈশান নিজের মানসিক ক্লান্তির কথা বলে ছুটি নিয়েছেন, অন্যদিকে শ্রেয়াস তো প্রকাশ্যে মিথ্যা বলেছেন এবং ধরাও পড়েছেন। তরুণ দুই প্লেয়ারের এই বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বোর্ড। এই দুই ক্রিকেটারই এবার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। সর্বশেষ চুক্তি অনুসারে আইয়ার ‘গ্রেড বি’র খেলোয়াড় হিসেবে বছরে ৩ কোটি এবং কিষান ‘গ্রেড সি’র খেলোয়াড় হিসেবে ১ কোটি রুপি করে বেতন পেতেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারত ক্রিকেট দলের নির্বাচকেরা নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির খেলোয়াড় তালিকা প্রায় গুছিয়ে এনেছেন। শিগগিরই বিসিসিআই চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, নতুন চুক্তিতে আইয়ার ও কিষানকে রাখা হচ্ছে না, ‘বিসিসিআইয়ের জোর তাগাদার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলায় চুক্তির তালিকায় কিষান ও আইয়ার থাকছেন না।’
এর আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের চিঠি দিয়ে সাবধান করেছিলেন বিসিসিআই সচিব। ক্রিকেটারদের পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘সম্প্রতি খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা গেছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিছু খেলোয়াড় (লাল বলের) ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করেছে। খেলোয়াড়দের এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটই সব সময় মূল ভিত্তি। এর ওপর ভারতীয় ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। খেলার প্রতি আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেই জায়গা থেকে এটিকে কখনোই অবমূল্যায়ন করা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটই ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড গঠন করে এবং জাতীয় দলের ফিডার লাইন (পাইপ লাইন) হিসেবে কাজ করে।’
‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুরু থেকেই পরিষ্কার—ভারতের হয়ে খেলতে আগ্রহী প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। সেখানকার পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সেখানে অংশগ্রহণ না করাটা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।’-আরো যোগ করা হয়েছিল চিঠিতে।
(ঢাকাটাইমস/২৪ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)