বিশ্ব শান্তি কামনায় শেষ হলো চরমোনাই মাহফিল
বিশ্ববাসীয় শান্তি কামনায় আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঐতিহাসিক চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আখেরী বয়ান ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী দেশের বৃহৎ এ ইসলামী সম্মেলন।
মুনাজাত পরিচালনা করেন, চরমোনাইয়ের পীর আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
মুনাজাতে মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা ও সফলতা কামনার পাশাপাশি বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের গাজা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও মুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা। এছাড়াও মুনাজাতে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফেরাত কামনা করেন চরমোনাই পীর।
গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় সম্মেলন শুরু হয়। তিনদিনের এ মাহফিলে আখেরী বয়ানসহ চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীম পাঁচটি এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দুটি বয়ান করেন। এছাড়াও দেশ বিদেশের প্রখ্যাত ও শীর্ষ আলেমরা বয়ান পেশ করেন।
মাহফিলে ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাতার, কুয়েতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও বিশিষ্ট আলেমগণ অংশগ্রহণ করেন। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার প্রধান মুফতী মুফতীয়ে আযম আল্লামা হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী অংশগ্রহণ করেন এবং বয়ান পেশ করেন। তিনি মাহফিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চরমোনাই অবস্থান করেন।
প্রতিবছর সারাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ চরমোনাই মাহফিলে অংশ নেন। বিশেষ করে বাংলা সনের দ্বিতীয় তথা ফাল্গুনের এই মাহফিলে সারাদেশে থেকে ৬০-৭০ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। এবার মাদরাসা সংলগ্ন মুল মাঠসহ ৬টি মাঠে (আবাদী ফসলের মাঠসহ) মুসুল্লিদের জন্য প্যান্ডেল নির্মাণ হয়। মাহফিল শুরুর আগেই প্যান্ডেল কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে যায়। আখেরী মুনাজাতে অংশ নিতেও শেষদিন কয়েক লাখ মানুষ চরমোনাই ছুটে যায়।
(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/এসআইএস)