সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: ৮৪ গ্রাহকের মধ্যে টাকা ফেরত পেলেন ৫৭ জন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪ | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের আত্মসাতের প্রায় ৫ কোটি টাকা অবশেষে ফেরত পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

বুধবার গোবিন্দাসী শাখা সোনালী ব্যাংকের কার্যালয় থেকে এই টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হয়। ৮৪ গ্রাহকের মধ্যে ৫৭ জন গ্রাহককে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মসাতের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৮৪ জন গ্রাহককে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। তার মধ্যে ৫৭ জন গ্রাহককে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

গ্রাহক মর্জিনা বেগম বলেন, সোনালী ব্যাংকে ২১ লাখ টাকা রেখেছিলাম। টাকাগুলো কৌশলে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছিল। পরে অনেক আন্দোলনের পর টাকাগুলো ফেরত পেয়েছি।

আরেক গ্রাহক ববিতা রানী বলেন, ভাবছিলাম টাকা ফেরত পাব না। কিন্তু অবশেষে আমার জমাকৃত ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। আত্মসাতের টাকা ফেরত পেয়ে ভালো লাগছে।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বধন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের গোবিন্দাসী শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দেয়। পরে গ্রাহকরা একাধিকবার ব্যাংক ঘেরাও, মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিসহ ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্তপূর্বক প্রায় ৯ মাস গ্রাহকদের মাঝে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।

শহিদুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় ২০২০ সালে যোগদান করে। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস কাজ করেন সেখানে। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্য প্রযুক্তিতে মেধা সম্পন্ন শহিদুল ইসলাম কৌশলে ব্যাংকের ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের টাকা লুজ চেকের (জরুরি উত্তোলণের জন্য একক পাতা) মাধ্যমে অন্য একাউন্টে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভাতার ৬ লাখ ৮১ টাকাও গায়েব করা হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের তালুকদার এগ্রো ফার্ম ও কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের খালেদা বেগম নামে পলাশ এগ্রো ফার্মের অ্যাকাউন্টসহ তার বন্ধু বান্ধবদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেন।

এছাড়া খালেদা বেগমের মেয়ের জামাই পটুয়াখালী জেলায় দুদকের উপ-পরিচালক মামুন চৌধুরীর সাথে শহিদুল ইসলামের বন্ধুত্বের কারণে ওই হিসাব নম্বর ব্যবহার করে টাকা সরানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সোনালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গোবিন্দাসী শাখা হতে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। এসব অভিযোগের পর কিছুদিন শহিদুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন 

ঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না, বাংলাদেশ ব্যাংকের আশ্বাস

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ালেন পাইকাররা

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর

কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিল সাউথইস্ট ব্যাংক

ঈদ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রম উদ্বোধন

বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণা চুক্তি স্বাক্ষর

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন 

বাজেট ২০২৪-২৫: ধনীদের কর বাড়ছে

‘ঈদ উৎসব-কোরবানি অফার’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করল সনি-র‌্যাগস

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :