টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর জাতির পিতা হয়ে ওঠা

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
 | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৯

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়েরা খাতুন-এর ঘরে যে পুত্রসন্তানটি জন্মগ্রহণ করেছে বাবা-মা আদর করে তাকে খোকা নামে ডাকতো। তবে তার নাম রাখা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন বাংলার নিবৃত এই পল্লির খোকা একদিন বাংলার মানুষের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হবেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হবেন- তা ১৯৭১-এর আগে কারো পক্ষেই বোঝা সম্ভব ছিল না, তেমনটি কল্পনা করা কারো পক্ষে সম্ভবও নয়। কিন্তু তিনি যে এই জাতিকে নিয়ে ভাবেন তাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়া দরকার, সেই রাষ্ট্রটি যেন হয় আধুনিক অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সোনার বাংলা- সেই ধারণাটিই ৪০-এর দশক থেকে তার আশপাশের তরুণরা কিছুটা অনুমান করতে থাকে। পঞ্চাশ-এর দশকে শেখ মুজিব আপাদমস্তক বাংলা, বাঙালি এবং আত্মমর্যাদাশীল মানুষরূপে বসবাস করার স্বপ্ন দেখানোর নেতা হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনগণের আলোচনায় স্থান করে নিয়েছিলেন। ষাটের দশকে শেখ মুজিব স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সোচ্চার, অদম্য-সাহসী নেতা হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার শাসক শ্রেণির দৃষ্টিতে পাকিস্তানের জন্য হুমকি এবং প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়েন। ছয় দফা উত্থাপনের পর পাকিস্তানের সরকার তাকে এবং তার দলের নেতৃবৃন্দকে জেলে নিক্ষেপ করে। এরপর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার রুজু করে তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে তোলার মামলায় জড়িয়ে ফেলে। কিন্তু দুই দশকের অধিক সময় ধরে যে রাজনীতিবিদ বাংলা ও বাঙালির ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিলেন তার মুক্তির দাবিতে ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব আন্দোলন গড়ে তোলে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সেই আন্দোলনের রূপ হিসেবে আবির্ভূত হয় যখন শেখ মুজিবসহ কারাবন্দি নেতৃবৃন্দ বের হয়ে আসেন। আইয়ুব সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিব তখন পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু নামে সমাদৃত হন। পাকিস্তানের গোটা রাজনীতিই তখন এই বাংলাকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। বাংলার জনগণের প্রধান নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুই তাদের আস্থা অর্জন করেন।

৭০-এর নির্বাচনে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে জনগণ নির্বাচিত করে। কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সেই রায় উপেক্ষা করে নানা ষড়যন্ত্র আঁটতে থাকে, ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা ধরনের তাল-বাহানা করতে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ প্রদান করেন তাতে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য গোটা জাতিকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বান গুড়িয়ে দেওয়ার শেষ চক্রান্ত ইয়াহিয়ার সরকার এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও ভুট্টো-কাউয়ুম খানের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক গোষ্ঠী অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যা শুরু করে। তাদের হিসাব ছিল তাতেই বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। কিন্তু পূর্ব বাংলার বেশিরভাগ মানুষই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে তখন তাদের একমাত্র বেঁচে থাকার উপায় হিসেবে গ্রহণ করেছিল। রক্তাক্ত এক মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়কে বাস্তবে রূপ প্রদান করে। সেই রাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এলেন জাতির পিতা হয়ে। জাতির পিতা শেখ মুজিব বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে একটি শোষণহীন সোনার বাংলা রূপে গড়ে তোলার সব আয়োজন তথা রাষ্ট্র কাঠামো ও চরিত্র বিনির্মাণে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করতে থাকেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তিনি একটি জাতি-রাষ্ট্র চরিত্রে গড়ে তোলার কঠিন দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা আদায় করতে সক্ষম হন। সেই সময় তিনি জাতীয় ঐক্য গঠন, আর্থ-সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তন সাধন, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি ধাঁচের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে একটি নতুন জনকল্যাণবাদী রাষ্ট্র বিনির্মাণের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করতে থাকেন। জনকল্যাণবাদী এই রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনও তিনি পেতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব দরবারে গণতন্ত্রের পথে সমাজতান্ত্রিক শোষণহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার একটি মডেল বিনির্মাণে হাত দিয়েছিলেন। সেই সময়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এবং নিকট আত্মীয়জনদের হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ১৫ই আগস্ট এক রক্তাত সামরিক অভ্যুত্থান সংগঠিত করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমেই শোষণহীন সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।

টুঙ্গিপাড়ার খোকার ইতিহাসে এমন বিস্ময়কর অবস্থান তৈরি করার বিষয়টি মোটেও সহজলব্ধ ছিল না, কিংবা তাঁর অথবা কারো-কারো ইচ্ছার-অনিচ্ছার ব্যাপারও ছিল না। এটি এক কথায় স্বাধীন রাষ্ট্রের আকাক্সক্ষা পূরণের ঐতিহাসিক আন্দোলনের দীর্ঘপ্রক্রিয়ার ফসল। টুঙ্গিপাড়ার খোকা যখন কিশোর ও তরুণ ছিলেন তখন ভারতবর্ষে ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়, ভারতকে স্বাধীন করার বহুমাত্রিক আন্দোলন। কিশোর শেখ মুজিব অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শে রাজনীতির সঙ্গে তিরিশের দশকে পরিচিত হন। সেটিই তাকে আকৃষ্ট করেছিল। কারণ তার পরিবার ছিল শিক্ষা-দীক্ষা এবং সংস্কৃতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অগ্রসর পরিবার। ঊনিশ শতকে নীলচাষ আন্দোলনে তার পূর্বপুরুষেরা জড়িত ছিলেন। কলকাতার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে এই পরিবার যুক্ত ছিল। মুজিব তাই স্কুলে পড়াকালে দুবার অসুস্থ হবার কারণে কলকাতায় চিকিৎসা নিয়েছিলেন দীর্ঘদিন থেকে। এরপর সোহরাওয়ার্দী ও ফজলুল হকের সঙ্গে পরিচিত হবার সুবাদে কলকাতায় গিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা করতে। তার পিতা বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সাময়িকী তার পাঠের জন্য রাখতেন। তিনি সেগুলো পড়তেন।

শিক্ষা, রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে ছিল তার গভীর আগ্রহ। পিতা তাকে স্কুল পাসের পর কলকাতায় পড়তে পাঠিয়ে দেন। তার দুই বোন এবং ভগ্নিপতি সেখানে থাকা সত্ত্বেও তিনি হোস্টেলে ওঠেন। এসময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়েন। তার কাছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, সোহরাওয়ার্দী, গান্ধীজী, শেরেবাংলা ছিল অনেকটাই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসর নেতা- যাদের কাছ থেকে তার শেখার যথেষ্ট সুযোগ তিনি লাভ করেছিলেন। তিনি তাদের কাছ থেকে শিখেছেন। বাংলার স্বাধীনতায় তিনি বিশ্বাস করলেও মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ও ইংরেজদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব তখন ভারতীয় স্বাধীনতাকে সাম্প্রদায়িক বিভাজিত রাজনীতির কূটচালে জটিল করে তুলেছিল। ৪৬-এ কলকাতার দাঙ্গা তাকে ভীষণভাবে ব্যথিত ও পীড়িত করেছিল। অবিভক্ত বাংলার স্বপ্ন ৪৭ সাল পর্যন্ত পোষণ করেও ব্যর্থ মনোরথে তাকে কলকাতা ছেড়ে পূর্ববাংলায় ফিরে আসতে হয়। পাকিস্তানের জন্য তিনি আন্দোলন করলেও পাকিস্তান লাভের পর বুঝতে পারলেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পাকিস্তানের নিগড়ে বাংলা আবদ্ধ হয়েছে মাত্র। সেই থেকে তিনি পূর্ব বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনীতিকে রক্ষার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হন, নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর শুরু হয় সত্যিকার শেখ মুজিবের রাজনৈতিক নেতৃতের এক কঠিন সংগ্রামী জীবন। তাতে জেল ছিল, জুলুম ছিল কিন্তু শেখ মুজিব ছিলেন অদম্য স্পৃহার এক দুঃসাহসী মনোবলসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। যিনি চষে বেড়ালেন গ্রাম, শহর, নদীপথ, রেলপথ, সড়কপথ বেয়ে মানুষের কাছে বার বার ফিরে আসা এক ব্যতিক্রমধর্মী নেতারূপে। এভাবেই তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন ভবিষ্যতের জাতীয় আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার এক আস্থাশীল নেতারূপে। ষাটের দশকে তিনি হয়ে উঠলেন প্রধান নেতা রূপে। জনগণও তাকে গ্রহণ করেছিল বাংলা ও বাঙালির শেষ ভরসার নেতারূপে। তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখালেন স্বাধীন রাষ্ট্রের। সেটিই তিনি ৭১-এ এসে জাতির সম্মুখে উম্মোচন করে দিলেন। জাতি তখন স্বাধীনতার স্বপ্নে আত্মোৎসর্গীকৃতভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াইয়ে নেমে পড়লো। জয় ছিনিয়ে আনলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের কবল থেকে জাতিকে মুক্ত করার যে জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন সেটি আমাদের প্রধান শক্তি হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে কাজ করেছিল।

বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে পূর্ব বাংলার জনগণকে স্বাধীনতার স্বপ্ন না দেখাতেন তাহলে আর কে দেখানোর মতো ছিলেন? পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং এর রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিল বাংলা ও বাঙালি বিরোধী, সাম্প্রদায়িক ঔপনিবেশিক মানস দ্বারা গঠিত। সুতরাং ঐ রাষ্ট্রের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা ক্ষীণ ছিল তা ৪৭-এর পর থেকেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে। ৭১-এ তিরিশ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া, পূর্ব বাংলাকে পোড়ামাটি নীতিতে ভস্মীভূত করে দেওয়াসহ নানা হিংসাত্মক তাণ্ডব সংগঠিত করার মধ্যেই পরিস্ফুট হয়। বঙ্গবন্ধু তখন তার রাজনৈতিক দল সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্র লাভের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন বলেই ১৯৭১-এ আমরা পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরাজিত করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু না হলে এই চ্যালেঞ্জ অন্য কোনো নেতা পাকিস্তানে ২৩ বছর পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে দেখা যায়নি। পাকিস্তান থেকে মুক্ত না হতে পারলে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক এবং জাতিগত অবস্থান এতদিন কোন স্তরে নেমে যেত তা পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান দেখে কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান থেকে বের হওয়ার পথ কতটা রুদ্ধ ছিল সেটা ভাঙার মতো শক্তি, সুযোগ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আদৌ সৃষ্টি করতে পারতো কি না তা বলা প্রায় অসম্ভব। টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা অবশেষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ২৩ বছর পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন বলেই ১৯৭১ সংগঠিত হতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের পতাকা বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের জন্য তৈরি করতে সক্ষম হলেন। তিনি আমাদের রাষ্ট্রের জনক হলেন, আমরা ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানের কবল থেকে চিরকালের জন্য মুক্ত হতে পেরেছি।

টুঙ্গিপাড়ার সেদিনের খোকা ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজে যেমন বেড়ে উঠেছিলেন, জাতিকেও মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্র লাভের মাধ্যমে আমাদেরকে সারা বিশ্বে স্বাধীনভাবে বাঁচার, পরিচিত হওয়ার যে সুযোগ করে দিয়েছেন তা আমাদের চিরকাল ইতিহাসের আলোয় দেখা দরকার। দুঃখজনক বিষয় হলো- বঙ্গবন্ধুর এই জন্মদিনে তাকে স্মরণ করতে চায় না, তার ঐতিহাসিক ভূমিকা স্বীকার করতে চায় না এমন মানুষের সংখ্যা এদেশে কম নয়। অথচ সারা বিশ্বই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক হিসেবে শ্রদ্ধা করে থাকে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভীষণভাবে ভালোবাসতেন, বিশ্বাসও করতেন। শিশুদের বঙ্গবন্ধু পরম স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসায় আদর করতেন। তাদের মধ্যেই তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেখতেন। শিশুদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের স্বয়ংসম্পূর্ণ সোনার বাংলা তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তা করতে দেওয়া হয়নি। তার কন্যা শেখ হাসিনা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৭ই মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিধান্ত গ্রহণ করেন। সন্দেহ নেই শিশুদের মধ্যে টুঙ্গিপাড়ার খোকার ইতিহাস গড়ার স্বপ্নের বীজ বপন করে দেওয়াই এই সিদ্ধান্তের প্রধানতম উদ্দেশ্য। আমাদের শিশুরা টুঙ্গিপাড়ার খোকাকে যত জানবে তত তারা একজন মানুষের মহামানব হয়ে ওঠার ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :