ইফতারের প্লেটে ফলের শূন্যতা
নিত্যপণ্যের দামের এখনো ঊর্ধ্বগতি। এই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেখানে ইফতারের মেন্যুতে ফল কাটছাঁট করছে মানুষ।
রাজধানীর মালিবাগের মেসে থাকেন ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করা মাইদুল। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ইফতারের মূল আইটেমই হচ্ছে শরবত, ছোলা-মুড়ি। এছাড়া হয়ত মাঝে মাঝে ফলের মধ্যে পেয়ারা, কলা এতটুকুই। এর বেশি কেনার সামর্থ্য নেই।’
রাজধানীর রেল লাইন ঘেঁষা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ফলের দাম কমেনি বরং আগের মতোই আছে। আবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভেদে একই ফলের দামের পার্থক্যও রয়েছে।
রেল লাইন ঘেঁষা কাঁচা বাজারে জিহাদি খেজুরের কেজি ২২০ টাকা, আপেল ২৮০ টাকা, কমলা ২২০-২৩০ টাকা, মালটা ৩৫০ টাকা, নাশপাতি ২৭০ টাকা ও আঙুর ফলের দাম ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে মৌচাক মারুফ মার্কেটের সামনে দেখা গেছে, ২৮০ টাকার আপেল বিক্রি করছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কমলা ২৫০ টাকা। এ ছাড়া ইস্কাটন রোড, মগবাজারেও দেখা গেছে দামের পার্থক্য। মগবাজারের থেকে ইস্কাটন এলাকায় ফলের দাম বেশি দেখা গেছে। অন্যান্য জায়গায় পেয়ারার কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও ইস্কাটনে ১০০ টাকা কেজি। এখানে আপেল, কমলা ও কলার দামও বেশি।
ফল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ঢাকা টাইমসকে বলেন, এলাকা ভেদে ফলের দাম কম-বেশি থাকবেই। কারণ এক এক এলাকায় এক একরকম দোকান ভাড়া। এছাড়া চাঁদার রেট তো হরেক রকমের। যেমন মৌচাকের থেকে ধানমন্ডিতে দোকানের ভাড়াও বেশি, আবার তারা আমাদের থেকে বেশি দামেও ফল বিক্রি করে।
এছাড়া ইফতারের বাজার রোজার শুরু থেকে প্রায় স্থিতিশীল আছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলার কেজি ১২০ টাকা, বেসন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিহাদি খেজুর ২২০ টাকা কেজি, মুড়ির কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। চিড়া মোটাটা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া চিনি ১৫০, লেবু ৬০ থেকে ৮০ টাকা হালি, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, ধনে পাতা ১২০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ১০০ টাকা কেজি।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/টিআই)