প্রত্যাশিত ধারাবাহিক উন্নয়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

আনিসুর রহমান খান
 | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবার ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে বর্তমানে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই সরকার পরিচালনা করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই সরকার এর আগে টানা তিনবার ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছে বলেই উন্নয়নের নির্দিষ্ট একটা মাপকাঠিতে উন্নয়নের ধারাবাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হচ্ছে তারা। এছাড়া বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় সার্বিকভাবেই বলা যায়- স্বাধীনতার পর থেকে আজ বাংলাদেশ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাকে এককথায় বিস্ময়কর উন্নয়নই বলা যায়। মাত্র ৫৩ বছর বয়সী তৃতীয় বিশে^র একটি দেশ এই বাংলাদেশ- যেখানে বারবার সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে সাধারণ মানুষ; সেই দেশ কী করে এত অল্প সময়ে এতটা উন্নতি করতে পারে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করছে বাংলাদেশ- এটি কম কথা নয় মোটেও। বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। শুধু তাই নয়- প্রায় পদ্মা সেতুর মতোই বহু বহু প্রকল্প এখন বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে চলেছে একের পর এক। স্বাধীনতার মাত্র ৫৩ বছরে জাতীয় অর্থনীতির এই পটপরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ- তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পাকিস্তানের চেয়ে এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। অনেক অনেক ক্যাটাগরিতে ভারত-চীনের থেকেও এগিয়ে আছে। শিক্ষার অগ্রগতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তানকে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জিডিপি ও মাথাপিছু জিডিপিতে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রস সেভিংস জিডিপিতেও ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষে। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় অনেক উচ্চতায় এখন বাংলাদেশ। জন্মহার নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশীদের গড় আয়ুর ক্ষেত্রেও ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশের অবস্থান।

বৈশ্বিক সংকট যখন অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণ হয়, তখন সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। ইউরোপের অনেক দেশই এখনো এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ মোটামুটিভাবে সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে রয়েছে। টানা চতুর্থবার ক্ষমতাগ্রহণ করে এক বক্তৃতায় দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে উত্তরণের কথা বেশ জোরেশোরে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার কথা উল্লেখ করে বর্তমান বৈশ্বিক সংকট উত্তরণের বিষয়ে ব্যাপক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এও বলেছেন যে- আমাদের বিনিয়োগ, রেমিট্যান্সপ্রবাহ এবং আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি- সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে। আজকের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ঐক্যটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি যেখানে; সেখানে বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে ঠিক তার উল্টো। আমরা মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলি না কেন, আমাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দারুণ অভাব রয়ে গেছে। অতীতেও এমনটি দেখা গেছে যে, যখনই একটু একটু করে স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ, তখনই হোঁচট খেয়েছে কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে। কখনো কখনো রাজনীতি উন্নয়নের প্রতিপক্ষ হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখনই জটিল হয়েছে, তখনই অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপকভাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে কখনো কখনো জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশে। বেড়েছে সাধারণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও সে সময়ে।

এটা বাড়িয়ে বলা নয় যে- আমাদের রয়েছে সুদীর্ঘকালের ইতিবাচক রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে ও পরে এই বঙ্গীয় অঞ্চলের বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রীর জীবনেতিহাস নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ লেখা ও প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো অনাগতকালের সন্তানদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী হিসেবে বিবেচিত। সেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শিক্ষা, দীক্ষা, ব্যক্তি, পরিবার, সেবা, ত্যাগ ও রাজনৈতিক সাহসী ভূমিকা ও অবদান আজও আমাদের নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য আদর্শনীয় ও অনুকরণীয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই দীর্ঘ ত্যাগ-তিতীক্ষা ও অবর্ণনীয় নিপীড়ন সহ্য করে দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ গড়া ও রাষ্ট্রপরিচালনার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশীয় বিশ্বাসঘাতক ও বিদেশি শত্রুদের যোগসাজশে কী নির্মমভাবেই না হত্যা করা হয়েছে। এরপর দীর্ঘ একুশটি বছর তাঁকে স্মরণ করতে, স্বাধীনতার সেøাগান দিতে প্রায় নিষেধাজ্ঞাই জারি হয়েছিল এবং পনেরোই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার অপ্রকৃত জন্মদিবসও পালনের প্রচলন করা হয়েছে এই দেশে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম একেবারেই কোলের শিশু। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়সে এসে আমরা বুকে আশা বাঁধতে ছিলাম সময়, দেশ ও জাতির নিরেট বাস্তবতায় এই সংঘাত এবং খুনের রাজনীতি নিশ্চয়ই দুর্বল হয়ে পড়বে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর সংলাপ সৌহার্দ্য এবং দেশপ্রেম ও দেশসেবার মহৎ উদ্দেশ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কিন্তু হায়! দেশ-জাতি ও বাঙালির চরম দুর্ভাগ্য ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের বিকেলে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সেই আওয়ামী লীগকে আবারো তার প্রধান নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের মূল শক্তি ও অন্যান্য নেতৃত্বকে কী নির্মমতার সাথে নির্মূল করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

১৫ই আগস্টের পর যেমন করে ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা হলো, খুনিদেরকে পুরস্কৃত করা হলো, দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে ধ্বংস করার সকল কৌশল অবলম্বন করে লক্ষ জীবনের বিনিময়ে সদ্যস্বাধীন হওয়া সোনার স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা একটি সম্ভাবনাময় দেশকে সুদূরপ্রসারী অনিশ্চয়তার দিকে নিক্ষেপ করা হলো। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি মদদে ২১শে আগস্টের নির্মম ঘটনার পরও ঐ একই শক্তি ঘটনার আলামত রাখতে দেয়নি, সংসদে একটি শোক প্রস্তাব পর্যন্ত তুলতে দেয়নি, এমনকি ঘটনাস্থলে চব্বিশ জন আদম সন্তান নিহত হওয়ার পর শত শত আহত ও অর্ধমৃত মানুষগুলোকে রক্ত দিতে পর্যন্ত আমাদেরকে প্রচণ্ড বাঁধার সম্মুখীন করেছিল।

২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচন নিয়ে যত আলোচনা ও সমালোচনা হয় এবং ভোট ব্যবস্থায় যে অসংগতি বিদ্যমান ছিল, তার দায়-দায়িত্ব ও অক্ষমতার দোষ আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশনের কাঁধে তুলে দিয়ে বিরোধী পক্ষগুলো সাধুজন সাজতে চান, তাদের অতীত রাজনীতির চেহারা তারা আয়নায় দেখে না। একাত্তর পঁচাত্তর ও দু’হাজার চারের ঘাতকগোষ্ঠীর সমন্বয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ও প্রভুগণের সমর্থনে নির্বাচনের পূর্বেই ক্ষমতায় যাওয়া তারা নিশ্চিত করতে চান, না হলে পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন মৌসুমে নির্বাচন কমিশন, কেয়ারটেকার সরকার, সরকারের পদত্যাগ, প্রশাসন দলীয়করণ ইত্যাকার বিষয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করেন।

দীর্ঘ একটা সময় ছিল, যখন আওয়ামী বিরোধী শক্তি আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ভারতের দালাল ইসলাম বিরোধী ও বাকশালী বলে গালমন্দ করতেন। আজ স্বাধীনতার তিপ্পান্ন বছরের বাস্তবতায় বাংলাদেশের মানুষ সেই রাজনীতিও ভালোভাবে বুঝে ফেলেছেন। এখন বাংলাদেশের সকল ধারার রাজনীতিই ভারতপ্রীতিকে স্ব-স্ব রাজনীতির জন্য নিয়ামক শক্তি মনে করেন। জামায়াত-বিএনপির কোনো কোনো নেতা পাকিস্তান ও পশ্চিমা প্রভুদের ইশারায় মাঝে মাঝেই নতুন আদলে ভারতবিরোধী জিকির তোলেন। আমরা মনে করি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত অতীতেও আমাদের বন্ধু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রত্যাশা ছিল সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি আদর্শ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপির এগুঁয়েমির জন্য সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনটি হলো না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়।

পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশ বছরের বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার পর দেশের সুনাম ও উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করলেও ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় এই সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি থেকে বেরিয়ে আসেননি, বরং রাজনীতিতে তারা অধিকতর বিদেশি নির্ভর হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে সংবিধান রক্ষা ও জাতিকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ নির্বাচন করা ছিল খুবই অনিবার্য। আমাদের প্রত্যাশা, আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্বলতা বুঝতে সক্ষম হবে। প্রতিপক্ষকে ধ্বংস ও নির্মূল করার মনোবৃত্তি থেকে তারা বেরিয়ে আসবে। মনে রাখতে হবে, প্রজন্মের কাছে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম, সেবা ও ত্যাগের রাজনীতির দৃষ্টান্ত রেখে যেতে পারছি কি-না। ২০২৪-এর ৭ই জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর নতুন সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের উন্নতির গতিধারা অব্যাহত রাখার দিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি- শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, মেধা, দেশপ্রেম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সাহস ও উন্নয়ন-অর্জনের স্বীকৃতিতে ভর করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণের স্বপ্নকে পূরণ করতে দেশের সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসবে।

সাধারণ মানুষ চায়- রাজনীতি পরিচালিত হোক জনস্বার্থে- এর চেয়ে বড়ো প্রত্যাশা আর তাদের নেই। জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হলে- রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় নতুন করে পরিবর্তন আনতে হবে। গণমানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটায় এমন কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এসে জনসম্পৃক্তি বাড়ানোর দিকে রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেষ্ট হতে হবে। আর তাতেই জনগণের মঙ্গল হবে। মনে রাখা দরকার, আদর্শচ্যুত রাজনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রকে কিছু দেয় না। রাজনীতি পচনশীল হলে রাষ্ট্র উন্নয়নের বদলে উল্টো পথে হাঁটে। সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুস্থ গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। উন্নয়নের স্বার্থেই সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে। একটি প্রগতিশীল ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে স্থান দিতে হলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নতি হবে এবং বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

আনিসুর রহমান খান: গীতিকবি, সাংবাদিক ও কলাম লেখক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :