দাগনভূঞায় একটি ব্রিজের অভাবে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মানিকছড়া খালের ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে হেঁটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়ে আশপাশের তিন জেলার পাঁচ উপজেলার ২০ গ্রামের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। মানিকছড়া খালটি আশীর্বাদ হলেও একটি ব্রিজ না থাকায় অভিশাপে রূপ নিয়েছে।
ছোট ফেনী নদ হতে উৎপত্তি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার তপোবন, সাতবাড়িয়া হয়ে কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে মানিকছড়া খালটি। খালটির প্রস্থ ৯০ ফুট। খালটির গভীরতা ১৬ ফুট। বাঁশের সাঁকোটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছেন। সাঁকোটির দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট। খাল থেকে সাঁকোটির উচ্চতা ১৬ ফুট। সিন্দুরপুর, কৌশল্যা, আলোকদিয়া, তপোবনের মাঝে প্রবাহিত মানিকছড়া খালের ওপর পাকা সেতু না হওয়ায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার বসবাসরত মানুষের। খালটির ওপর পাকা সেতু নির্মাণ ও খাল খনন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোগান্তির শিকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সালেহ উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক স্বাস্থ্য সহকারী আবদুর রব ঢাকা টাইমসকে জানান, ২০ গ্রামের হাজারো শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম মানিকছড়া খাল পারাপার বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত। প্রশাসনের সঙ্গে বারবার আবেদন-নিবেদন করেও কোনো সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সিন্দুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূর নবী ঢাকা টাইমসকে জানান, মানিকছড়া খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। মানিকছড়া খালটি দ্রুত খনন না হলে সোনালি ফসল বোরো আবাদ ব্যাহত হবে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা ঢাকা টাইমসকে বলেন, জন ও কৃষিবান্ধব মানিকছড়া খালের ওপর ব্রিজ ও খাল পুনঃখননের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে আগামী বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পে সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। উপজেলা এলজিইডি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/৩১মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন