ইফতার মাহফিলে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩

​​​​​​​হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০০

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রজ্জব আলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি।

আহত রজ্জব আলী মো. জনি হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফরিদ মোল্লা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোয়া ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দীন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে যুবলীগ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া ইফতার মাহফিল শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের অনুসারীরা সাবেক এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হন মমতাজ বেগমের তিন অনুসারী। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার শিকার যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, হরিরামপুরের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে আমরা ইনভাইটেড ছিলাম। দোয়া শেষে ইফতার করে নামাজের উদ্দেশ্যে যখন বের হয়েছি তখনই উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুরের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেছে।

তিনি বলেন, আগে আমরা দেওয়ান সাইদুরের কাজ করতাম। কিন্তু তার নানা অপকর্মের কারণে গত কয়েক বছর ধরে তার পারপাস সার্ভ না করায় প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ফরিদ মোল্লা আরও বলেন, ইতঃপূর্বে দেওয়ান সাইদুর তার অনুসারীরা আমাদের ওপর অনেকবার হামলা করেছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ আমাদের সেই মামলাগুলোও নেয়নি। আমরা বিচারহীনতার মধ্যে আছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।

সংঘর্ষের প্রত্যক্ষদর্শী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি জনগণ নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখান। আজ তেমনই একটা ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। হামলায় যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লাসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।

এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে দেওয়ান সাইদুরের ছেলে দেওয়ান নবীনুর বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। আমি ঢাকা গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে এসেছি। ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তারা নিজেরা মারামারি করে আমার লোকজনের উপর দায় চাপাচ্ছে।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নূর আলম বলেন, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। সেসময় আমরা কাছাকাছিই ছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৫এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :