সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে একমাত্র বাঙালিই বর্ষবরণ করে থাকে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, “সারাবিশ্বে বাঙালি জাতিই একমাত্র জাতি, যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে নতুন বর্ষবরণ করে থাকে। তাই বাঙালি জাতি আলোর দিশারি।”
রবিবার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩১ বঙ্গাব্দ’ এ ঢাদসিক মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, “পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ রাতের বেলা ১২টা ১ মিনিটে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আমরাই একমাত্র জাতি যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকি। সুতরাং বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখায়। বাঙালি জাতি আলোর দিশারি।”
নতুন বর্ষকে বরণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে চায়। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তার সে অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবসমূহের মধ্যে অন্যতম। এই উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিনির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। অথচ দেশে বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি একসময় এই উৎসবকে বানচাল করার পাঁয়তারা করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও এই উৎসবকে বাঙালির ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিয়েছে। তার নেতৃত্বেই বাঙালি সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে এবং এগিয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তাদের পরিবার, করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংগীত শিল্পী এস ডি রুবেল এবং করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে আগত সবার মধ্যে পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি আলু, ডাল, লইট্টা শুঁটকি, বেগুন, শিম, কলা, ধনিয়া পাতা, টমেটো, চ্যাপা শুঁটকি, সরিষা, পেঁয়াজ ভর্তাসহ মোট ২০ ধরনের ভর্তা পরিবেশন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এমআই/এফএ)