উপজেলা সমবায় সমিতিগুলোকে কার্যকর করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ জনপদ ও তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব। কুমিল্লার ড. আখতার হামিদ খানের মডেল অনুসরণ করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের দেশে গ্রামীণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সফলতা পেয়েছে। তাই সমবায়ীদের সম্ভাবনা, সমস্যা ও সংকট সমাধানে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের ৪৭৯টি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের অধীনে প্রায় ৯০ হাজার প্রাথমিক সমবায় সমিতি রয়েছে, যার উপকারভোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ পরিবার। দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে মজবুত করার লক্ষ্যে কৃষি উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসব সমিতিকে কার্যকর করা গেলে সাধারণ মানুষ তার সুফল পাবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ। আরও ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল।
(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এমএইচ/কেএম)

মন্তব্য করুন