চাঁদপুরে নারায়ণ হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

চাঁদপুর শহরের ঘোষ পাড়ার দই-মিষ্টি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে (৬০) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি রাজীব ওরপে রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় প্রদান করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাজু কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ গ্রামের সুভাষ চন্দ্র শীলের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারের টিপটপ হেয়ার কাটিং সেলুনে কাজ করতেন।

হত্যার শিকার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ শহরের ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি শহরের বিপনীবাগসহ বিভিন্ন দোকানে দই মিষ্টি বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ সুদে টাকা ধার দিতেন। রাজু তার কাছ থেকে দৈনিক ২০ টাকা সুদের বিনিময়ে দুই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ আসামি রাজুর সেলুনে যান সুদের টাকা আনতে। রাজু নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে চলে যেতে বলেন এবং পরে আসতে বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে আবার আসলে তার চুল কাটতে এবং সেভ করতে বলেন। ঠিক ওই সময় রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে সেভ করার এক পর্যায় ধারালো খুর দিয়ে তার গলা কাটেন এবং তাকে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তার মরদেহ বিপনীবাগ বাজারের শরীফ স্টিলের নিকট বস্তায় করে রেখে আসেন।

পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় স্বজনরা স্থানীয়দের মাধ্যমে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের মরদেহের খোঁজ পান। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেন।

এই ঘটনায় নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে রাজীব ঘোষ ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রাজীব ওরপে রাজু চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর আসামি রাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম। তিনি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি দুই বছরের অধিক সময় আদালতে চলাকালীন ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি নিজের অপরাধ স্বীকার, সাক্ষ্য প্রমাণ এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আসামি কারাগারে থাকা অবস্থায় ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হন। তার বর্তমান নাম আবদুর রহমান বলে সে নিজেই আইনজীবীকে জানিয়েছে।

আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :