চাঁদা না দেওয়ায় সংস্কার কাজ বন্ধ, হাসপাতালের অরক্ষিত বারান্দা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার কার্নিসের রেলিং না থাকায় পা ফসকে পড়ে খোরশেদ মিয়া (৮০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোরে জামুর্কী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ মিয়া পার্শ্ববর্তী দেলুয়ার উপজেলার ছানবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, খোরশেদ মিয়া নামে ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ নিয়ে গত ৮ জুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার ভোরে তিনি কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার বারান্দার কার্নিসের কাছে গেলে রেলিং না থাকায় পা ফসকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জানা গেছে, ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার চলমান রয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার মিলিনিয়াম কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে।
মিলিনিয়াম কনস্ট্রাকশনের পার্টনার সোহেল চৌধুরীর ভাই আব্দুল কাদের চৌধুরী মুন্না অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ মে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার রেলিং ভেঙে পুনরায় কাজ করতে গেল স্থানীয় রিফাত নামের এক যুবক চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বারান্দা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে খোরশেদ আলম নামের এক রোগী ফজরের নামাজের শেষে বারান্দার রেলিংয়ের কাছে হাঁটতে গিয়ে পা ফসকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, চাঁদা বা কাজের অর্ধেক শেয়ার না দিলে রিফাত তাদের কাজ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলামসহ ডিপার্টমেন্টকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তাদের বলেছিলাম কমপ্লেক্সের ভিতরে কোনো সমস্যা হলে আমি দেখবো। কমপ্লেক্সের বাইরে হলে তো আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবো না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিফাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, চাঁদাবাজি বা কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/পিএস

মন্তব্য করুন