রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি, অডিটোরিয়াম ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতিতে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় উপজেলা অডিটোরিয়ামের দরজার গ্লাস ও প্রজেক্টর ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ, সহকারী রিটার্নিং অফিসার তাজাল্লী ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রথমে প্রবেশ করেন মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার সমর্থকরা। এরপর প্রবেশ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা ও তার সমর্থকরা। এসময় সামনের সারিতে বসা নিয়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাদের দুপক্ষের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় অডিটোরিয়ামের ভেতরে ও বাইরে উপস্থিত সকলের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রফিকুল ইসলাম রফিক ও আবুল বাশার বাদশার সমর্থকরা একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়তে থাকে। উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা অডিটোরিয়ামের গ্লাস ও প্রজেক্টর ভাঙচুর করে। তবে পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করার আগেই উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা দুইপক্ষকে দুপাশে সরিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের দাবি, সামনের সারিতে বসা নিয়ে মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশার সমর্থকরা আমার ও আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। এ হামলার ঘটনায় নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সামনের সারিতে বসা নিয়ে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। সামনের সারিতে প্রার্থীদের বসার কথা থাকলেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থকদের বসিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে রফিকের সমর্থকরা।
রিটার্নিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এ ব্যাপারে দুইপক্ষকেই সতর্ক করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নির্বাচনে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন