তিস্তায় বাড়ছে পানি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

রংপুর ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২৪, ২৩:৩৭
অ- অ+

ভারতে থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার খুব কাছ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে

এদিকে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ডিমলা উপজেলায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারাজের (তিস্তা সেচ প্রকল্প) ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শুক্রবার (১৪ জুন) বিকাল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় সকাল ৬টায় ২৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

অপরদিকে বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের (ভারত থেকে আসা) ঢল আর গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকালের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটির দিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটি অঞ্চলে নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই আঞ্চলিক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তবে বর্ষা মৌসুমের আগে তিস্তায় পানি বাড়ায় নদীপাড়ের মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।’

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গিয়ে বাদাম ও শাক-সবজিসহ উঠতি বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হবে।’

একই কথা জানিয়েছেন টেপামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামও।

এদিকে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ
বরগুনায় ট্রলার ডুবে ৩ জেলে নিখোঁজ
সারা দেশে জুনে ৬৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত হয়েছে: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
‘হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া’ সেই লিতুন জিরার এসএসসিতেও চমক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা