কোটা ব্যবস্থার বিলোপ: পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
  প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৫| আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১
অ- অ+

বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি সংবিধান। সংবিধানের নিচের কয়েকটি অনুচ্ছেদ একটু লক্ষ করলেই আমরা দেখতে পাবো এই সংবিধান মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যেই প্রণীত হয়েছে। এবার একটু লক্ষ করে দেখি সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে আমাদের সংবিধানে কী কী রক্ষাকবচ দেওয়া আছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- কাজ কর্ম বা চাকরি-বাকরি নিয়ে আমাদের সংবিধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা আছে।

সুযোগের সমতা নিয়ে সংবিধানে ভাষ্য হচ্ছে-

‘১৯। (১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।

(২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান বলছে-

‘২৯। (১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।

(২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।

(৩) এই অনুচ্ছেদের কোনোকিছুই-

(ক) নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে,

(খ) কোনো ধর্মীয় বা উপ-সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে উক্ত ধর্মাবলম্বী বা উপ-সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণের বিধান-সংবলিত যেকোনো আইন কার্যকর করা হইতে,

(গ) যে শ্রেণীর কর্মের বিশেষ প্রকৃতির জন্য তাহা নারী বা পুরুষের পক্ষে অনুপযোগী বিবেচিত হয়, সেইরূপ যে কোনো শ্রেণীর নিয়োগ বা পদ যথাক্রমে পুরুষ বা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বিগত কয়েক বছর ধরেই একটি বহুল আলোচিত বিষয়। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে কাজের সুযোগও সীমিত। অনেক মানুষই দেশে কোনো কাজ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রম বিক্রি করতে কঠিন প্রবাস জীবন বেছে নেয়। সেখানেও আছে নানা বঞ্চনা। তাই সব মানুষেরই প্রথমত একটি স্বপ্ন থাকে দেশেই একটি সরকারি চাকরি পাবার। বলতে কারোই দ্বিধা নেই যে- ৫৬% কোটা থাকার কারণে সব মানুষ চাকরি পাবার লড়াইয়ে সমানভাবে লড়াই করার সুযোগ পায় না। সবাই যে চাকরি পাবে বিষয়টি তাও নয়। কিন্তু পাবার চেষ্টা করার সুযোগের সমতা থাকা তো খুবই দরকার।

বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, সরকারই হচ্ছে সব চেয়ে বড়ো চাকরিদাতা । যদিও ইদানীং বেসরকারি চাকরিও খুবই আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়। তারপরও অধিকাংশ বেকার তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন থাকে একটি সরকারি চাকরি পাবার। তুলনামূলকভাবে সরকারি চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা অপেক্ষাকৃত একটু কম থাকার পরও অনেক তরুণ-তরুণীর এই সরকারি চাকরি পাবার স্বপ্ন মোটেও দোষের নয়। পেনশনসহ কিছু সুবিধা সরকারি চাকরিতে আছে যা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।

এই নীতির কারণে বহু প্রতিভাবান চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, আবার অনেকে বলছেন, এটি সাম্যের পথ সুগম করেছে। কোটা ব্যবস্থার বিলোপ নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ এবার তুলে ধরা যাক। সমান সুযোগের বাস্তবায়ন-

যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন:

কোটা ব্যবস্থার বিলোপের সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হলো, সকল প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের প্রকৃত প্রতিভার স্বীকৃতি পাবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে সরকারি খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিযোগিতার মান উন্নয়ন:

কোটা ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মানকে ক্ষুণ্ন করে। কোটার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকার কারণে অনেক সময় অনেক প্রার্থী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয় না। ফলে সরকারি খাতে দক্ষ কর্মীর অভাব দেখা দেয়। কোটা বিলোপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার মান উন্নত হবে এবং চাকরিপ্রার্থীরা তাদের সম্পূর্ণ সামর্থ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেবেন।

মেধাসম্পন্ন প্রার্থীর স্বীকৃতি:

মেধাসম্পন্ন প্রার্থীরা কোটা ব্যবস্থার কারণে অনেক সময় তাদের যথাযথ স্বীকৃতি পান না। কোটা ব্যবস্থার বিলোপের মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন হবে, যা একটি সমাজের প্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সমাজের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন:

কোটা ব্যবস্থা সমাজের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অনগ্রসর, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও নারীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা একটি বিশেষ সুবিধা দেয় যা তাদের সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। কোটা বিলোপের ফলে এই জনগোষ্ঠী পুনরায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য:

কোটা ব্যবস্থা সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। কোটা বিলোপের ফলে সমাজের বিত্তশালী ও প্রভাবশালী অংশের মানুষ আরো বেশি সুযোগ পাবেন, যা সামাজিক বৈষম্যকে আরও বাড়াবে।

নারীদের ক্ষমতায়ন:

নারীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা তাদের ক্ষমতায়ন ও চাকরিক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। কোটা বিলোপের ফলে নারীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারেন, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। কোটা ব্যবস্থার বিলোপের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি ও মতামত রয়েছে। মেধার স্বীকৃতি, প্রতিযোগিতার মান উন্নয়ন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের পক্ষে কোটা ব্যবস্থার বিলোপকে সমর্থন করা হলেও, সমাজের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী ও নারীদের উন্নয়নের জন্য কোটা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী নীতিমালা গ্রহণ করা প্রয়োজন যা সমাজের সকল অংশের উন্নয়ন ও সাম্যের পথ সুগম করবে।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ কয়েকটি দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলন এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্বারা এই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। এতে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে তা মানবিকতাবোধের বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এই আন্দোলন দমানোর সহিংসতায় অন্তত ছয়জন মানুষ মারা গেছে; যা খুবই অনাকাক্সিক্ষত। ঘরে বাইরে, টিভির টকশোতে এখন কোটার পক্ষে-বিপক্ষে চলছে এই কোটা সংস্কার আন্দোলন ও আন্দোলন দমানোর সহিংসতা নিয়ে নানা আলোচনা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে কোটায় নিয়োগ হতো। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে রয়েছে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা। পরে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু করে মোট কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল। পরে এ কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তারপর নাতি-নাতনি যুক্ত করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটার বিপুল পদ শূন্য থাকতো। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়, কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরি প্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ ৭ জন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে গত ৫ই জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ঠা জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ঠা জুলাই নয়) বলে আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেন।

কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য গত ১০ই জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ।

সূত্র বলছে, সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালুর ইতিহাসটি বেশ দীর্ঘ। স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থা চলে আসছিল। একপর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটার বিপুল পদ শূন্য থাকতো। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়, কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

২০১৮ সালে কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলনে নামে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আন্দোলনের একপর্যায়ে সরকার ওই বছর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা বহাল থাকে। এই দুই শ্রেণিতে পোষ্য, আনসার-ভিডিপিসহ কিছু কোটা রয়েছে।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ই জুন হাইকোর্ট নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। তবে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

অনেকেই মনে করেন- কোটাপ্রথা পুরোপুরি বাতিল না করে এর সংস্কার করা হলে এর সুফল অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী ভোগ করতে পারবে। বেশিরভাগ মানুষই কোটা প্রথার সম্পূর্ণ বিরোধী নন। তারা মনে করে কোটার দরকার আছে। তবে সেটাতে যৌক্তিক কারণ ও সুষম বণ্টন থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের ছেলে মেয়েরা সুবিধা পেয়েছে সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের নাতি-পুতিদেরকেও একই সুবিধা দিতে হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এটা চরম বৈষম্য বলে মনে করি। তাই কোটা প্রথার সম্মানজসক সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন: কলাম লেখক, সাবেক শিক্ষক, লৌহজং মহাবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আদালতে নুসরাত ফারিয়া, রাখা হলো হাজতখানায়
বীরগ‌ঞ্জে ট্রাক-মাই‌ক্রোবা‌সের মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষে নিহত ৩ ‌
জো বাইডেন প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত, ছড়িয়ে পড়েছে হাড় পর্যন্ত
হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন ৪৯ হাজার ৯০৪ বাংলাদেশি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা