বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

বগুড়ার কাহালুতে শান্তনা বেগম নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাতেম আলী (৩২) নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নারহট্ট সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্তনা লোহাজাল গ্রামের সাহেব আলীর কন্যা এবং তার স্বামী হাতেম আলী একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি পাবনার সাঁথিয়ায় একটি হ্যাচারিতে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতেম আলী তার এলাকার বেশ কিছু ব্যক্তির কাছে ঋণগ্রস্ত ছিল। বুধবার (৩১ জুলাই) পাবনা থেকে বাড়িতে আসে হাতেম আলী। ঘটনার রাতে হাতেম আলী সেখানে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করে। ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাতেম আলী তার স্ত্রীকে প্রথমে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে স্ত্রী শান্তনাকে হত্যা করে।
শান্তনার মা বলেন, শান্তনা তার একমাত্র সন্তান। শান্তনাকে ছোটবেলায় বিয়ে দিয়েছেন। তখন তার বয়স ১০ বছরের মতো। বিয়ের পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকতো। হাতেম আলী প্রতিনিয়ত ধার দেনা করে চলত। ধার দেনা করার কারণে সে প্রায়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। এবারসহ তিনবার হাতেম আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। শান্তনা বেগম হাতেম আলীকে বলেছিল, তুমি আর বাড়িতে এসো না। আমি দুটো সন্তানকে নিয়েই থাকবো। সেই কথা শুনে হাতেম আলী কাহালুতে চলে আসে। পরে রাতের বেলা খাবার খেয়ে গভীর রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর হাতেম আলী নিজেই থানায় এসে বিষয়টি আমাদেরকে জানান। তখন আমরা তাকে আটক করি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/পিএস

মন্তব্য করুন