সংকটকালীন সময়ে পুলিশের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন এ কে এম শহিদুর
রাগ-ক্ষোভ ও ভয়ভীতি কাটিয়ে পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা জানান, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সংকট মোকাবিলা করে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে বাংলাদেশ পুলিশের ‘ফোকাল পার্সন’ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি সংকটকালীন সময়ে পুলিশ বাহিনীতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর পরীবাগের পুলিশ অফিসার্স মেসে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ‘নির্যাতিত, নিগৃহীত, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের’ পক্ষ থেকে ডিআইজি (চাকরিচ্যুত) খান সাইদ হাসান।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দুঃশাসনকালে নিগৃহীত, চাকরিচ্যুত, অন্যান্যভাবে বঞ্চিত পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ পুলিশের সংকট নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। আলোচনায় দেশব্যাপী থানা ও পুলিশ লাইন্সগুলোয় পুলিশ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে শিগগিরই করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম শহিদুর রহমানকে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগের কন্ট্রাক্ট পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বসম্মতভাবে মনোনীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটকে অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক শহীদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো।
অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমরা সংকটময় সময় পার করছি। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য মারা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেক ভয়ভীতি কাজ করছে। পুলিশের সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমরা পুলিশের সব ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
এদিকে আজ বিকালে এক ভিডিও বার্তায় পুলিশের সব সদস্যদের ধৈর্য সহকারে দৃঢ় মনবল নিয়ে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়া আহত অবস্থায় যেসব সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/এলএম/ইএস)