ডাসারে মন্দিরে হামলার গুজব ছড়িয়ে আ.লীগের বিক্ষোভ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে দুই পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সোমবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গিয়ে ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল ঢালীর নেতৃত্বে নবগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগ অফিসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্ততিমূলক আলোচনা সভা শুরু করেন।
এসময় নবগ্রাম স্থানীয় বিএনপি নেতা পংকজ বালা, অনুপম পাত্র ও হরষিত মল্লিকসহ কয়েকজন মিলে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা বন্ধ করতে বলেন। বন্ধ না করলে একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে রাতে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় তারা।
পরে আওয়ামী নেতাকর্মীরা কৌশলে মন্দিরে হামলার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়ে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে ঢাল, লাঠিসোঠা, রামদা, টেঁটাসহ রাস্তায় নেমে মিছিল করে। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল বলেন, ‘নবগ্রামে কোনো মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেনি। এখানে নির্মাণাধীন একটি মন্দিরের সামনে কিছু পোলাপান বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা করছিল। ওই সময় বিএনপির কর্মীরা এসে চেয়ার ভাঙচুর করে।’
এ বিষয় আওয়ামী লীগ নেতা নৃপেন বৈদ্য বলেন, ‘আমরা ১০-১৫ জন মিলে চেয়ার পেতে মন্দিরের সামনে বসেছিলাম। এসময় দুর্বৃত্তরা এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের মন্দিরে প্রতিমা ছিল না। নির্মাণাধীন ছিল বলে দুর্বৃত্তরা কিছু ভাঙতে পারেনি। প্রতিমা থাকলে অবশ্যই তারা ভাঙতো।’
অন্যদিকে বিএনপি নেতা পংকজ বালা বলেন, ‘আমরা কোনো মন্দিরের উপর হামলা করিনি। আওয়ামী লীগের লোকেরা শোক দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করছিল। তাই আমরা ওদেরকে ধাওয়া করেছি। মন্দিরে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে নবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন, ‘নবগ্রামের নির্মাণাধীন কালিমন্দিরের কিছু চেয়ার ভাংচুর করার কথা শুনেছি।’
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এজে)