প্লাবিত রাঙ্গামাটির নিম্নাঞ্চল, ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি পানির নিচে

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৭:০৪
অ- অ+

এক সপ্তাহের টানা ভারী বর্ষণের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে টইটম্বুর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। ইতোমধ্যে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তলিয়ে গেছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি। এতে করে রাঙামাটির অন্তত ১০ হাজার প্রান্তিক কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বসবাসরত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশাগুলোর মধ্যে কৃষিকাজ, মৎস্য আহরণ ও কাঠের ব্যবসা অন্যতম। বর্তমানে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধ, কাঠের ব্যবসাও সীমিত। এমন পরিস্থিতিতে কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় অত্র অঞ্চলের মানুষ ভবিষ্যতে খাদ্য ও অর্থ সংকটে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পাহাড় ও নদীঘেরা পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় দুর্গম অঞ্চলের দুর্গত মানুষদের অনেকেই এখনো প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়নি বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে এ পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বিতরণ হয়েছে এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরাও দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছে না।

জানা যায়, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট। সর্বশেষ সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৮৪ ফুট মিন সি লেভেল। এমন অবস্থায় রাঙামাটিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাঙামাটি শহরের রসুলপুর, শান্তিনগর আসামস্তি, ব্রাহ্মণটিলা, রাঙাপানি, হাসপাতাল এলাকা, পাবলিক হেলথ, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পুরান বস্তিসহ কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে দাবি স্থানীয়দের। ইতোমধ্যে দুদফা কাপ্তাই বাঁধের পানির জলকপাট খোলা হলে এলাকায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে জনগণ।

রাঙামাটি কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ১০০ এমএসএলের নিচে বিশেষ করে ৯৬ থেকে ৯৮ এর মধ্যে যদি কাপ্তাই হ্রদের পানি রাখা হয়, তাহলে আমাদের অত্রাঞ্চলের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ছে। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে যতদ্রুত হ্রদের পানি কমানো যায়, ততই কৃষকরা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে রাঙামাটির পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এ টি এম আবদুজ্জাহের ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন, পানির চা সামাল দিতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দুদফা চালু করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওপারে কারফিউ, সুনামগঞ্জের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান
খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখলের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা