নোয়াখালীতে পানির নিচে প্রধান সড়ক, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোতে পানিবন্দি ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকাতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে নোয়াখালীর প্রধান ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একই সাথে ফেনী-চৌমুহনী, চৌমুহনী-মাইজদী, চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর-কবিরহাট ও সোনাপুর-কুমিল্লা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে গেছে।
সোনাপুর কুমিল্লা সড়কের চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় এক ফুট, মাইজদী বাজার থেকে পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত ফোরলেন সড়কের দুই পাশে পানি রয়েছে, সড়কটির পূর্বপাশে ৮/১০ ইঞ্চি ও পশ্চিম পাশে পানি রয়েছে ৪/৫ ইঞ্চি। তবে এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের কেন্দুরবাগ এলাকায় বড় বড় গর্তের ভিতরে কোমর পরিমাণ পানি জমে যাওয়ায় এবং সোনাপুর-কবিরহাট সড়কের বেল্লাকোট্টা, বানদত্ত, ট্রান্সমিটার, অশ্বদিয়া এলাকায় প্রায় এক থেকে দেড় ফুট করে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি রবিবার রাতে দাগনভূঞা হয়ে কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে শুরু করে। রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর, চরহাজারী, চরপার্বতী ও বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকাগুলোর প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে রাতে মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রচণ্ড পানির চাপে ভেঙে গেছে মুছাপুর স্লুইসগেট। ফলে পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী দাগনভূঁঞা ও সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে লোকজন।
এছাড়া গত দুইদিনে ফেনী থেকে নেমে আসা বানের পানিতে জেলার সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সাত থেকে আট ফুট পানির নিচে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকাগুলোতে প্রতিমুহূর্তে বন্যার পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলার এক হাজার ৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন