কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ, সফল কৃষকেরা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কাঁচা সবজি ও পাঁকা ফল হিসেবে খুব সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও অনেকে বেশি। স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার আশপাশে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ার কারণে কৃষকদের অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
পাইকাররা এখন কৃষকদের বাগান থেকেই পেঁপে কিনছে। যে কারণে কৃষকদের বাজারে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা থাকছে না। বরং যাতায়াত খরচ কমে যাওয়ার লাভের পরিমাণ বেড়েছে।
উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বির্তুল গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব কৃষক মো. মাসুদ সরকার। গেল বছর তিনি কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে ১ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গত বছরের সফলতায় এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি দামও পাচ্ছেন ভালো।
শুধু মাসুদ সরকারই নন। মাসুদের মত একই গ্রামের যুবক রনি সরকার ও সম্রাট সরকারও পেঁপে চাষ করছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার নাগোরি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে পাইকারি ও স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করছেন। স্থানীয় কয়েকজন পেঁপে চাষি জানান, পেঁপে চাষ করে সফলতা অর্জন করার পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার উলুখোলা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির উদ্দিন মোল্লা বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে পেঁপে চাষে বির্তুল গ্রামের কৃষকদের পরিবারে ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘পেঁপে চাষে খরচ কম, রোগ বালাইয়ের ঝামেলা ও ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। পেঁপে চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ শিক্ষিত বেকার যুবকেরা যদি পেঁপে চাষে অগ্রসর হয় তাহলে তারাও লাভবান হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/পিএস)