চোখের জ্যোতি বাড়ায় পেঁপের জুস, ক্যানসারেরও যম!
বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত একটি ফলের নাম পেঁপে। নিয়মিত এই ফল খেলে একাধিক উপকার মেলে। পেঁপেতে রয়েছে জরুরি কিছু ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার, যা কিনা দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে। এমনকি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতেও সাহায্য করে।
সে কারণে পৃথিবীর তাবড় পুষ্টিবিদেরা নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পেঁপের জুস করে খেতে হবে। এতেই পেঁপেতে থাকা সব রকম ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ঠিকমতো কাজ করতে পারবে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে পেঁপের জুসের একাধিক চমকে দেয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিয়মিত এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিন। এই কাজটা করতে পারলেই আপনার শরীরের হাল ফিরবে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে নিয়মিত পেঁপের জুস খেতেই হবে। কারণ এই পানীয়ে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যে দেহে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। এমনকি প্রশমিত হবে প্রদাহও। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডায়েটে এই পানীয়কে জায়গা করে দিন।
পেট থাকবে সুস্থ-সবল
গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বজহজমের মতো পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি। তবে ভালো খবর হলো, নিয়মিত পেঁপের জুসে চুমুক দিলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলতে পারে।
আসলে এই জুসে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান, যা কিনা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই তো স্বাস্থ্য বিভ্রাট এড়াতে চাইলে পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা এই পানীয়ের সঙ্গে চটজলদি বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
চাঙ্গা হবে ইমিউনিটি
ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙ্গা থাকলে একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ এড়ানো যাবে। তাই চিকিৎসকরা সবাইকেই ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে পেঁপের জুস। এই পানীয়ে এমন কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই দীর্ঘ জীবন লাভের ইচ্ছা থাকলে এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিতে ভুলবেন না!
ডায়রিয়ার মহৌষধ
অনেকেই বর্ষার দিনে ডায়রিয়ার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন। এই সময় পেট খারাপ হলেই চট করে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বরং এই ভুলের ফাঁদ এড়িয়ে সমস্যা সমাধানে খেতে পারেন পেঁপের জুস। এতে দেহে পানির ঘাটতি মিটবে। এমনকি কমবে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
চোখের জ্যোতি বাড়বে
আজকাল ৩০-এর পরই চোখের জ্যোতি কমছে। এমনকি এই বয়সেই ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো জটিল অসুখের খপ্পরে পড়ছেন অনেকে।
তবে এ নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিয়মিত গলায় ঢালুন পেঁপের জুস। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। কারণ পেঁপের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন চোখের জ্যোতি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি পেঁপের জুস খেলে বয়সজনিত চোখর সমস্যা এড়ানোও সম্ভব হবে।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এজে)