ব্লিস কারম্যানের দুটি কবিতা
উইলিয়াম ব্লিস কারম্যান একজন কানাডিয়ান কবি। তিনি ১৮৬১ সালের ১৫ এপ্রিল কানাডার নিউ ব্রান্সউইকের ফ্রেডেরিকটনে জন্মগ্রহণ করেন। কারম্যান ছিলেন একজন কানাডিয়ান সামুদ্রিক প্রদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের আঞ্চলিক কবি। ব্লিস কারম্যান ফ্রেডেরিকটন কলেজিয়েট এবং নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ১৮৯০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যান এবং দুই দশক ধরে বিভিন্ন জার্নালে সম্পাদকীয় কাজ করে জীবিকা অর্জন করেন।
ব্লিস কারম্যান প্রায় ৪০টি কাব্যগ্রন্থ, তিনটি নাটক, আটটি গদ্য সংকলন ও বেশ কয়েকটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেন। তিনি মর্মস্পর্শী প্রেমের কবিতা এবং প্রকৃতি নির্ভর কবিতার জন্য স্মরণীয়। তিনি প্রকৃতি, শিল্প এবং মানব ব্যক্তিত্বের ওপর বেশ কিছু গদ্যও লিখেছেন।
১৯০৬ সালে ব্লিস কারম্যান ইউএনবি এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯২৫ সালে কানাডার রয়্যাল সোসাইটির সংশ্লিষ্ট ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সালে ইউএনবি ক্যাম্পাসে স্থাপিত একটি ভাস্কর্য দ্বারা কারম্যানকে সম্মানিত করা হয়। ফ্রেডেরিকটনে ‘নিউ ব্রান্সউইকের ব্লিস কারম্যান মিডল স্কুল’ এবং টরন্টোতে ‘অন্টারিওর ব্লিস কারম্যান সিনিয়র পাবলিক স্কুল’ তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১৯২৯ সালের ৮ জুন ৬৮ বছর বয়সে ব্লিস কারম্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান।গ্রীষ্মের ঝড়
ঝোড়ো বাতাসের আনাগোনায়
পাহাড় চূড়ায় বৃক্ষগুলো অবনত,
অনুচ্চ, ধূসর মেঘ ভিড় বাধে
বরষার অস্ত্রপাতি নিয়ে
মহড়ায় ব্যস্ত যুদ্ধ-বিমানের মতো।
নাকাড়া-বাদক বাতাস সঙ্কেত দিলে
এগিয়ে আসে মেঘ, দাগে অদৃশ্য কামান
গাভীগুলো দাঁড়ায় পাশাপাশি, ভয়ে উচাটন,
রাখাল ছুটে ঘরমুখে,
প্রথম বজ্রটি পড়ে জানালা ভাঙে।
কামান দাগায় শান্ত ফলের বাগানে,
মুহূর্তে তছনছ নাশপাতি ফল;
উপত্যকা ছিঁড়ে খুড়ে ঝড় ছুটে আসে,
আলোড়িত হয় পুকুরের কালো জল,
তারপরই রোদ এসে করে সব দখল।প্রথম কম্পন
তার স্পর্শে প্রথম কেঁপে উঠেছিলাম আমি
যেন এক প্রকাণ্ড কাসার থালায়
কেউ সজোরে করেছে আঘাত।
সে কম্পন আজও স্পন্দিত হয় হৃদয়ে আমার
কিশোরী মেয়ের কানের দোল
যেমন কাঁপে মাটিতে পা ফেলার তালে তালে।এই অনুভূতি রক্তশিরায় থাকবে আমার যতদিন পৃথিবীতে সূর্য্য ছড়াবে আলো।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এফএ)
মন্তব্য করুন