হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি খন্দকার গোলাম ফারুক, দুদকেও ৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যাওয়ার চেষ্টাকালে বিমানবন্দরে সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গত ২০ আগস্ট ঢাকার আদালতে এক আইনজীবীর করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পুলিশ।
খন্দকার গোলাম ফারুক এবং তার স্ত্রীর ভাই-বোনেরা আমেরিকার নাগরিক। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে অবৈধ আড়াই হাজার কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে দুদকের অভিযোগ।
ডিএমপির একাধিক সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে, কোতোয়ালি থানায় খন্দকার গোলাম ফারুকের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। মামলাটির ২ নম্বর আসামি সাবেক এই ডিএমপি কমিশনার।
এ তথ্যের সূত্র ধরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা টাইমসকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘গত ২০ আগস্ট বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি সি আর মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মামলাটি গ্রহণ করি। সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হান্নান ভূইয়া।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী হান্নান ভূইয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘২০২৩ সালে আমরা আদালত প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ আয়োজনে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে বেদম পেটায়।’
হান্নান ভূইয়া জানান, সেসময় নানা কারণে তিনি মামলা করতে পারেননি। এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে দুদকেও খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। যেখানে গোলাম ফারুক আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৮ জুলাই দুদকে করা ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, গোলাম ফারুক চাকরিজীবনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা দেশ থেকে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
বিপুল এই অর্থের মধ্য থেকে গোলাম ফারুক তার নিকট আত্মীয় ও স্বজনদের মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ টাকার মালিক তিনি।
দুদকে করা অভিযোগ বলা হয়েছে, এসব সম্পদ ও নগদ টাকা খন্দকার গোলাম ফারুকের নিকট আত্মীয়, স্বজনদের নামে এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/এলএম/এজে)
মন্তব্য করুন