অধিনায়কত্ব নিয়ে শান্তর সঙ্গে আলোচনা করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের চেয়ে বেশি আলোচনায় অধিনায়ক শান্ত। কেননা এই প্রথম টেস্ট শেষে খবর ছড়ায়, সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত।
গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তার বরাতে ক্রিকবাজ জানায়, শান্ত তার নেতৃত্ব ছাড়ার ব্যাপারটি বিসিবিকে জানিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে থাকার জন্য বলা হলেও তিনি তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
তবে আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বোর্ড সভায় আলোচনার আগে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন শান্তর কাছ থেকে এমন কোনো প্রস্তাব পাননি তিনি। বোর্ডপ্রধান আজ রাতেই উড়াল দিচ্ছেন চট্টগ্রামে। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি।
মিরপুরে ফারুক বলেন, ‘যদি কোন ক্রিকেটার মনে করেন যে তার দায়িত্ব সে চালিয়ে নিতে পারছে না। সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তো শান্তর যে ব্যাপারটা সেটা আমিও শুনেছি। কিন্তু এর পেছনে কোন কারণ আছে কি না, কেন করতে চাচ্ছে এগুলো খুঁজে বের করাটা খুব জরুরি। ’
তিনি বলেন, ‘আমি ওগুলো নিয়ে শান্তর সঙ্গে কথা বলব। আজকে আমি চট্টগ্রামে যাব কাল, পরশুর মধ্যে কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে বসে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তবে যেটা হলো কেউ কোন দায়িত্ব করতে না চাইলে সে বললো পারবো না, আমরা বললাম ওকে ধন্যবাদ। এটা সমাধান না। আমাদের পেছনের কারণ জানতে হবে। আমি তো পত্রিকা পড়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। এই মুহূর্তে ওর সঙ্গে সেইভাবে কোন কথা হয়নি। ’
অনেকে মনে করেন, শান্ত দায়িত্ব ছাড়ছেন পারফরম্যান্সের জন্য। এ নিয়ে সমালোচনা নিতে পারছেন না তিনি। তবে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে বলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন ফারুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা প্রভাব ফেলতে পারে বলেও জানান তিনি।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি জানি না শান্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে কি না। আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা হয়, এখন অনেক কিছু নিয়েই ক্রিকেটাররা আপসেট থাকে। কারণ তাদের পারফরম্যান্সের চিন্তা করতে হয়, যে কোন সামাজিক মাধ্যমের খবর তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ’
‘ক্রিকেটারদের তাই এসব ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার যে, তারা যে কোন কিছুই অনুভব করুক। সেটা যে জায়গায় কথা বলা উচিত সেখানে যা মনে করে সেটা বলতে পারেন। যেমন ক্রিকেট অপারেশন্স, সিইও এরপর চেয়ারম্যান আছেন, সে জায়গাগুলোতে ওই ক্রিকেটার তার মনের কথাটা বলতে পারেন। ’-যোগ করেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/ ৩০অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন