সরকারের বিশেষ লোক দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করে যাচ্ছেন: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে এমন একজন বিশেষ ব্যক্তি আছেন (নাম ও পরিচয় স্পষ্ট করেননি), যিনি দেশকে ধ্বংসের শেষ দিকে নিয়ে যাবে, যদি না তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সরকার প্রধানের খুব কাছাকাছি থাকেন। সেই সুযোগ নিয়ে আগামীতে বাংলাদেশের ধ্বংসের জন্য যা করা দরকার, তা করে যাচ্ছেন অবলীলায়।
রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী মির্জা আব্বাস বলেন, সবাই চেষ্টা করেছে খোকার সঙ্গে একটা দ্বন্দ্ব হোক। এটা বলে বেরিয়েছে তারাই, যারা ফায়দা লুটতে ব্যস্ত ছিল। এটা আমি আর খোকা জানতাম। মৃত্যুর আগে ফোনে কথা হয়েছিল আমার। কথা শুনে ছিল। খোকা আর আমার মাঝে কোনো বিরোধ ছিল না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের অনেক বিএনপির কর্মী বাহিরে চিকিৎসা নিতে পারেনি। আমাদের নেত্রী চিকিৎসা নিতে পারেননি। হয়তো এখন তিনি চিকিৎসা পাবেন, বিদেশে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সময় মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসা হয়নি।
তিনি বলেন, আমার এতো বছরের রাজনৈতিক জীবনে আজকের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। হাসিনা পালিয়ে গেলো, সচিবালয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাকাপোক্ত হয়ে বসে গেছে।
অনুষ্ঠানে মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশারক হোসেন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেশে আসার পাসপোর্ট দেয়নি পতিত স্বৈরাচার সরকার। শেষে বাক্সবন্দি লাশ হয়ে দেশে আসতে হয়েছে। উনার (আমার বাবা) মনোবল খুব শক্ত ছিল, ভেবেছিলেন হয়তো দেশে পরিবর্তন আসবে, জীবিত দেশে ফিরতে পারব। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে ৫ আগস্ট। কিন্তু আমার বাবা শেখ হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি। যতদিন বেঁচে থাকব, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব।
সভাপতির বক্তব্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, সাদেক হোসেন খোকার আদর্শ বুকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। আজকে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো গণতন্ত্র পাইনি। একটা ফ্যাসিবাদী শক্তির পর আরেকটা ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি সরকারকে অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৩নভেম্বর/জেবি/এমআর)
মন্তব্য করুন