গাইবান্ধায় শেখ হাসিনা-সাবেক পুলিশ সুপারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
গাইবান্ধায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালানো এবং হাসপাতালে হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার শাহিদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার এবং ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোসাদ্দেক মামুন। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার একটি মিছিল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে সার্কিট হাউজের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, এই সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হুকুমে মিছিলে অতর্কিতভাবে গুলি চালানো হয়। এতে ওয়াহেদুর রহমানসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা চালায় এবং তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়।
ওয়াহেদুর রহমানের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজোয়ানুল হক। তিনি জানান, ৪ আগস্টের ঘটনার পর ওয়াহেদুর রহমানের শরীরে ১০টি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রদান করেছে।
(ঢাকা টাইমস/১১নভেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন